মার্কিন ইতিহাস বদলে দিলেন কমলা হ্যারিস

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০ জানুয়ারি ২০২১, ১০:৪৬ পিএম

কমলা হ্যারিস

মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। ফাইল ছবি

কমলা হ্যারিস

কমলা হ্যারিস
মার্কিন রাজনীতির ইতিহাস বদলে দিলেন কমলা হ্যারিস। তিনি ভারতীয় ও জ্যামাইকান বংশোদ্ভূত নারী। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসেবে ইতিহাস গড়েছেন কমলা হ্যারিস। এখানেই শেষ নয়, প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী ও প্রথম দক্ষিণ এশিয়ান আমেরিকান হিসেবে এই সম্মানিত পদে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নির্বাচনে জিতে শপথ নেন কমলা হ্যারিস ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তথ্য: বিবিসি ও সিএনএন।
হ্যারিসের নানার বাড়ি তামিলনাড়ুতে। তাঁর মায়ের নাম শ্যামলা গোপালান। বাবার নাম ডোনাল্ড জে হ্যারিস। তিনি জ্যামাইকান। কমলা তার “দ্য ট্রুথ উই হোল্ড: এন আমেরিকান জার্নি” শীর্ষক বইয়ে লিখেন, আমি শ্যামলা গোপালান হ্যারিসের মেয়ে। এ কথা বলার চেয়ে দুনিয়ায় আমার কাছে আর কোনো কিছু অধিক সম্মানের নেই। এ সত্যই আমার কাছে সবচেয়ে প্রিয়।
[caption id="attachment_261513" align="alignleft" width="426"]
একজন মার্কিন রাজনীতিবিদ, আইনজীবী এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচিত উপরাষ্ট্রপতি। তিনি ডেমোক্র্যাটিক পার্টির একজন সদস্য। তিনি রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী জো বাইডেনের সঙ্গে ২০২০ সালের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। হারিয়ে দেন উপরাষ্ট্রপতি মাইক পেন্সকে। তিনি ২০ জানুয়ারি রাতে যুক্তরাষ্ট্রের উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কনিষ্ঠ সিনেটর হিসেবে ২০১৭ সাল থেকে ক্যালিফোর্নিয়ায় দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
ক্যালিফোর্নিয়ার ওকল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেন কমলা হ্যারিস। যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে পড়াশোনা করেন। এছাড়া ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়েও পড়াশোনা করেন। হেস্টিংস কলেজ অফ ল হতে সম্পন্ন করেন স্নাতক। কর্মজীবন শুরু করেন আল্যামেডা কাউন্টি জেলা অ্যাটর্নি অফিসে। পরবর্তীতে যোগ দেন সান ফ্রান্সিসকো অ্যাটর্নি অফিসে। কাজ করেন সিটি অ্যাটর্নি অব ফ্রান্সিসকো অফিসেও। ২০০৩ সালে তিনি সান ফ্রান্সিসকোর অ্যাটর্নি জেনারেল নির্বাচিত হন। পুনঃনির্বাচিত হন ২০১৪ সালে।
[caption id="attachment_261515" align="alignright" width="429"]
১৯৬৪ সালে অকল্যান্ডে জন্ম হয় কমলার। তাঁর মা শ্যামলা ছিলেন ক্যানসার বায়োলজিস্ট। বাবা ডোনাল্ড জে হ্যারিস একজন অর্থনীতিবিদ। মায়ের চাকরি সূত্রে বেশ কিছু কাল মন্ট্রিয়লেও থেকে ছিলেন। ভারতীয় ঐতিহ্যের সঙ্গে মিল রেখে সৌন্দর্য ও সৌভাগ্যের দেবী লক্ষ্মীর প্রতীক আর পদ্মফুলের সমার্থক শব্দে মেয়ের নাম ‘কমলা’ রাখেন তার মা। সেই কমলা হ্যারিসই বাগ্মিতা, যুক্তি আর ক্ষুরধার বুদ্ধির জোরে ডেমোক্রেটিক পার্টি ও তাদের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো বাইডেনের নির্বাচনী প্রচারে আনেন দারুণ গতি।
[caption id="attachment_261532" align="alignleft" width="382"]
৫৫ বছর বয়সী ক্যালিফোর্নিয়ার এ সেনেটর শুরুতে অবশ্য বাইডেনের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। দুজনেই লড়েছিলেন দলীয় মনোনয়ন পেতে। ওই দৌড়ে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল কমলা হ্যারিসের। এরপর অবশ্য বেশি দিন অপেক্ষাও করতে হয়নি এই নারীকে। দ্রুতই সাফল্য বনে পৌঁছে যান।