২০২৫ সালের জানুয়ারির প্রথম দিন থেকে জেনারেশন বিটা প্রজন্মের সূচনা হয়েছে। ২০২৫ থেকে ২০৩৯ সালের মধ্যে জন্ম নেয়া সবাই এই প্রজন্মের অন্তর্ভুক্ত হবে। এর ফলে জেনারেশন আলফা আর কনিষ্ঠ প্রজন্ম নয়। জেনারেশন বিটা হবে সপ্তম প্রজন্ম, যার নামকরণ প্রথা শুরু হয়েছিল ১৯০১ সালে গ্রেটেস্ট জেনারেশন দিয়ে।  

প্রজন্মের ধারণা এবং এর প্রভাব  

প্রজন্ম বলতে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জন্ম নেয়া মানুষদের বোঝানো হয়, যারা সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং ঐতিহাসিক অভিজ্ঞতায় একত্রিত। বড় ধরনের ঘটনা, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি এবং সামাজিক পরিবর্তনগুলো একটি প্রজন্মের দৃষ্টিভঙ্গি, মূল্যবোধ ও আচরণে গভীর প্রভাব ফেলে।  

নর্থ ক্যারোলাইনা স্টেট ইউনিভার্সিটির মার্কেটিংয়ের সহকারী অধ্যাপক হিদার ড্রেটশ ‘গুড মর্নিং আমেরিকা’ অনুষ্ঠানে বলেছেন, বিভিন্ন প্রজন্ম কীভাবে ব্র্যান্ড এবং বিশ্বকে দেখছে তা বোঝা এখন ব্যবসার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি  উল্লেখ করেন, ভোক্তাদের আচরণ পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে চলতে এবং নতুন প্রজন্মের প্রবণতা বুঝতে ব্র্যান্ডগুলো গবেষণায় মনোযোগ দিচ্ছে।  

জেনারেশন বিটার বৈশিষ্ট্য  

ফিউচারিস্ট মার্ক ম্যাকক্রিন্ডল মনে করেন, জেনারেশন বিটা প্রযুক্তির গভীর অন্তর্ভুক্তি এবং বৈচিত্র্যের প্রতি প্রবল আগ্রহ নিয়ে গড়ে উঠবে। পরিবর্তনশীল এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক একটি সমাজে এই প্রজন্ম কৌতূহল ও উদারতার পরিবেশে বড় হবে।  

জেনারেশন আলফা এবং তাদের পরিচিতি  

২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে জন্মগ্রহণকারী ব্যক্তিরা জেনারেশন আলফার অন্তর্ভুক্ত। এ প্রজন্ম ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রভাবে বেড়ে উঠেছে এবং পারিবারিক বন্ধনের প্রতি তাদের গভীর মনোযোগ লক্ষ্যণীয়।  

জেনারেশন জেড এবং তাদের প্রভাব  

জেনারেশন জেড, যারা ১৯৯৭ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে জন্ম নিয়েছে, তথ্যপ্রযুক্তি দ্বারা প্রভাবিত একটি প্রজন্ম। কোভিড-১৯ মহামারির ফলে এই প্রজন্ম অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে আরো রক্ষণশীল হয়েছে।  

আগের প্রজন্মগুলোর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি :   

- মিলেনিয়ালস (১৯৮১-১৯৯৬) : ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং পরিবারকে বেশি গুরুত্ব দেয়া প্রজন্ম।  

- জেনারেশন এক্স (১৯৬৫-১৯৮০) : স্বাধীন ও অভিযোজনক্ষম।  

- বেবি বুমারস (১৯৪৬-১৯৬৪) : যুদ্ধ-পরবর্তী অর্থনৈতিক উন্নয়নের যুগে জন্ম।  

- সাইলেন্ট জেনারেশন (১৯২৮-১৯৪৫) : ঐতিহ্য এবং শৃঙ্খলার প্রতি নিবেদিত।  

- গ্রেটেস্ট জেনারেশন (১৯০১-১৯২৭) : যুদ্ধকালীন এবং ত্যাগের সময়ের প্রজন্ম।  

প্রজন্মের এই ধারাবাহিকতা আমাদের সমাজে মানুষের মূল্যবোধ ও আচরণের পরিবর্তনগুলোকে বুঝতে সহায়তা করে, যা ভবিষ্যতে নতুন প্রজন্মের অভিজ্ঞতা গঠনে ভূমিকা রাখবে।