ইরানের হুমকির প্রেক্ষিতে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র-বিধ্বংসী ব্যবস্থা পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৫২ এএম

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ছবি: সংগৃহীত
ইরান থেকে আসা সম্ভাব্য ক্ষেপণাস্ত্র হামলার আশঙ্কায় ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরো শক্তিশালী করার উদ্যোগ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন সরকার ঘোষণা করেছে, তারা ইসরায়েলে উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র-বিধ্বংসী ব্যবস্থা পাঠাবে এবং সেই ব্যবস্থা পরিচালনার জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মার্কিন সেনা মোতায়েন করবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ইসরায়েলের সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। পেন্টাগনের মুখপাত্র প্যাট রাইডার জানিয়েছেন, এই পদক্ষেপের অংশ হিসেবে ‘টার্মিনাল হাই-অ্যাল্টিটিউড এরিয়া ডিফেন্স’ (থাড) ব্যাটারি মোতায়েন করা হবে, যা ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য সহায়ক হবে।
রাইডার আরো উল্লেখ করেন, ইরান এবং ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়াদের হামলা থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলকে রক্ষার জন্য মার্কিন সামরিক বাহিনীতে সাম্প্রতিক সময়ে বড় ধরনের রদবদল আনা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে এই ক্ষেপণাস্ত্র-বিধ্বংসী ব্যবস্থা মোতায়েন করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, ইরান এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। ইরানের পররাষ্ট্র উপমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি সতর্ক করে দিয়েছেন যে, ইসরায়েলে মার্কিন সেনা মোতায়েন করা তাদের জন্য একটি বড় ঝুঁকি হতে পারে। তিনি এক্স (পূর্বে টুইটার) এ এক পোস্টে লিখেছেন, ‘আমরা আমাদের অঞ্চলে সর্বাত্মক যুদ্ধ দমিয়ে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমাদের জনগণ এবং স্বার্থ রক্ষায় কোনো সীমারেখা নেই।’
আরাকচি আরো বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের মাটিতে তাদের সেনা মোতায়েন করে তাদের জীবন ঝুঁকির মুখে ফেলছে। যেকোনো হামলার প্রেক্ষিতে ইরান নিজের প্রতিরক্ষা এবং আঞ্চলিক স্বার্থ রক্ষায় প্রস্তুত।’
আরো পড়ুন: পোল্যান্ডে আশ্রয় সাময়িকভাবে বন্ধ
সম্প্রতি ইরান এবং ইসরায়েলের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা এবং আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতার প্রেক্ষিতে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ইসরায়েল আশঙ্কা করছে যে, ইরান এবং তাদের মিত্র মিলিশিয়ারা দেশটির ওপর বড় ধরনের হামলা চালাতে পারে। এই অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মিলে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করা ইসরায়েলের জন্য অপরিহার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মার্কিন সরকারও ইসরায়েলকে এই হামলার বিরুদ্ধে সুরক্ষিত রাখতে তাদের সামরিক শক্তি ও প্রযুক্তি দিয়ে সমর্থন করছে।