ঢাকা, বাংলাদেশ শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫ BETA VERSION
ভিডিও আর্কাইভ ইউনিকোড কনভার্টার আজকের পত্রিকা ই-পেপার
Logo
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • অর্থনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • সারাদেশ
  • খেলা
  • বিনোদন
  • লাইফ স্টাইল
  • শিক্ষা
  • তথ্যপ্রযুক্তি

সব বিভাগ বিশেষ সংখ্যা ভিডিও আর্কাইভ আজকের পত্রিকা ই-পেপার ইউনিকোড কনভার্টার
Logo

প্রিন্ট: ০৭ জুন ২০২৫, ০৯:০৫ এএম

আরো পড়ুন

আন্তর্জাতিক

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় নবজাতকদের যত্নে ধুঁকছে মায়েরা, মানবেতর জীবন

Icon

কাগজ ডেস্ক

প্রকাশ: ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৩০ পিএম

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় নবজাতকদের যত্নে ধুঁকছে মায়েরা, মানবেতর জীবন

দেইর আল-বালাহ শরণার্থী শিবিরে নবজাতক শিশুকে কোলে নিয়ে বসে আছেন মা রানা সালাহ। ছবি: রয়টার্স

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার দেইর আল-বালাহ শরণার্থী শিবিরে এক মাস বয়সী মেয়ে মিলানাকে কোলে নিয়ে বসে আছেন রানা সালাহ। তার চোখে কষ্ট আর যন্ত্রণার ছাপ। সন্তানের প্রতি মমতার পাশাপাশি, নিজের মেয়ে জন্মানোর জন্য এক ধরনের অপরাধবোধও অনুভব করছেন তিনি।

সালাহ বলেন, যদি আমার সিদ্ধান্তের বিষয় হতো, তবে যুদ্ধের মধ্যে আমি কখনো সন্তান জন্মাতাম না। কারণ, এখানে জীবন আর আগের মতো নেই। আগের দু’বার সন্তানের জন্ম দিয়েছি, তখন জীবন অনেক সহজ ছিল। আর এখন মনে হয়, নিজেকে ও আমার সন্তানকে বঞ্চিত করছি, আমরা এর চেয়ে ভালো জীবন প্রত্যাশা করি। খবর রয়টার্সের।

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, গর্ভাবস্থায় জটিলতার কারণে মিলানার জন্ম হয়েছিল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে। কিন্তু যুদ্ধের কারণে আর ঘরে ফেরা হয়নি তাদের। শরণার্থী শিবিরের এক তাঁবু থেকে আরেক তাঁবুতেই এখন ঘুরে বেড়াচ্ছেন তারা।

জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের তথ্যমতে, গত এক বছরে গাজায় প্রায় ২০ হাজার নবজাতকের জন্ম হয়েছে। চলমান ইসরায়েল-ফিলিস্তিন  যুদ্ধ সংঘাতের নতুন আর ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। এই যুদ্ধের মধ্যে শিশুরা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরে হামাসের এক আকস্মিক হামলায় ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি নাগরিক নিহত এবং প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করা হয়। এর জবাবে ইসরায়েলের বিমান ও গোলাবর্ষণে গাজার বেশিরভাগ অঞ্চল ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ইসরায়েলের হামলায় এ পর্যন্ত প্রায় ৪১ হাজার ৫০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ২৩ লাখের বেশি গাজার বাসিন্দাদের বেশিরভাগই এই মুহূর্তে ঘরছাড়া।

তাঁবুর তীব্র তাপ থেকে বাঁচাতে মিলানার গায়ে হাতপাখা দিয়ে বাতাস করছেন সালাহ। তিনি বলেন, আমাদের ঘরে ফেরার বদলে তাঁবুতে ঘুরে বেড়াতে হচ্ছে। চারপাশে শুধু রোগ আর দূষিত পানি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, গাজায় প্রসূতি সেবা এখন উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। ফলে মা এবং তাদের নবজাতকদের জরুরি স্বাস্থ্যসেবার প্রবেশাধিকার অনেকটাই সীমিত হয়ে পড়েছে এই এলাকাটিতে। সংস্থাটির ইস্টার্ন মেডিটারেনিয়ান অঞ্চলের জরুরি পরিচালক রিক ব্রেনান বলেন, অপুষ্টি এবং সংক্রমণের ঝুঁকি এই অঞ্চলটিতে সবচেয়ে বেশি। বিশেষ করে যদি মা বুকের দুধ খাওয়াতে অক্ষম হন এবং বিকল্প কোনো খাদ্য না পাওয়া যায়।

আরেক মা, মনার আবু জারাদ ৩ কন্যা সন্তানের জননী। তার স্বামী যুদ্ধে নিহত হয়েছেন। ছোট্ট সাহারের জন্মের সময় সিজারিয়ান করতে হয় জারাদকে। তিনি বলেন, আমি চিৎকার করছিলাম, কীভাবে আমি মেয়েদের জন্য খাবার আর পানির ব্যবস্থা করবে, কীভাবে গোসল করাবো।

তার মেয়ে সাহার তাঁবুর একপাশে একটি দোলনায় শুয়ে রয়েছে, পাশে বসে তাকে দোলাচ্ছে সাহার অন্য বোনেরা। জারাদ বলেন, আমার পক্ষে মেয়েদের দেখাশোনা করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ, এখানে কিছু সাহায্য পেয়েছি। তবে, দিনে একটি মাত্র ডায়াপার ব্যবহার করছি, ডায়পার কেনার মতো টাকা নেই আমার কাছে।

আরো পড়ুন: ইসরায়েলের ওপর অন্ত্র নিষেধাজ্ঞা নিয়ে যা বললেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট

তাদের এই দুর্দশা অবসানের অপেক্ষায় আছেন জারাদ। তিনি বলেন, আমরা শুধু ঘরে ফিরতে চাই, এমনকি সেটা যদি তাঁবুও হয়। এভাবে বেঁচে থাকা আর সম্ভব না। বাথরুমের নোংরা পরিবেশ, রোগব্যাধির আতঙ্ক—সবকিছুই আমাদের জন্য অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

রয়টার্স অবলম্বনে

গাজা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেইর আল-বালাহ রানা সালাহ বিপাকে মায়েরা শরণার্থী শিবির

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে পুরো জাতি হতাশ : মির্জা ফখরুল

নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে পুরো জাতি হতাশ : মির্জা ফখরুল

জাতীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

জাতীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

ত্যাগের মহিমার ঈদুল আজহা আজ

ত্যাগের মহিমার ঈদুল আজহা আজ

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত, মুসল্লিদের ঢল

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত, মুসল্লিদের ঢল

ঈদের দিন যেমন থাকবে আবহাওয়া

ঈদের দিন যেমন থাকবে আবহাওয়া

নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রচেষ্টায় বারবার বাধা দিচ্ছে পতিত ফ্যাসিবাদ

ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রচেষ্টায় বারবার বাধা দিচ্ছে পতিত ফ্যাসিবাদ

সংসদ নির্বাচন এপ্রিলের প্রথমার্ধে: জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা

সংসদ নির্বাচন এপ্রিলের প্রথমার্ধে: জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা

জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা

জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা

আইসিসির ৪ বিচারকের ওপর ট্রাম্প প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা

আইসিসির ৪ বিচারকের ওপর ট্রাম্প প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা

শেষ মুহূর্তে জমজমাট দেশের ৩৬০০ পশুর হাট

শেষ মুহূর্তে জমজমাট দেশের ৩৬০০ পশুর হাট

সব খবর

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ২৫ কিলোমিটার যানজট

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ২৫ কিলোমিটার যানজট

হজের খুতবায় ফিলিস্তিনিদের জন্য বিশেষ দোয়া

হজের খুতবায় ফিলিস্তিনিদের জন্য বিশেষ দোয়া

কালুরঘাট সেতুতে ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত ৩

কালুরঘাট সেতুতে ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত ৩

জাপানে সবচেয়ে কম শিশু জন্মের রেকর্ড

জাপানে সবচেয়ে কম শিশু জন্মের রেকর্ড

রাস্তা জুড়ে অরাজকতা, জিম্মি যাত্রীরা

রাস্তা জুড়ে অরাজকতা, জিম্মি যাত্রীরা

ঈদের দিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা

ঈদের দিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা

আমি না থাকলে হারতেন অকৃতজ্ঞ ট্রাম্প: মাস্ক

আমি না থাকলে হারতেন অকৃতজ্ঞ ট্রাম্প: মাস্ক

প্রধান উপদেষ্টা সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন

প্রধান উপদেষ্টা সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন

ঈদের ছুটিতে ঢাকায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা, মাঠে থাকবে ৫০০ পেট্রোল টিম

ঈদের ছুটিতে ঢাকায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা, মাঠে থাকবে ৫০০ পেট্রোল টিম

টোল আদায়ে নতুন রেকর্ড গড়ল পদ্মা সেতু

টোল আদায়ে নতুন রেকর্ড গড়ল পদ্মা সেতু

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

আমাদের কথা যোগাযোগ শর্তাবলি ও নীতিমালা গোপনীয়তা নীতি বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা

অনুসরণ করুন

BK Family App

২০২৫ ভোরের কাগজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

কর্ণফুলি মিডিয়া পয়েন্ট, ৩য় তলা, ৭০ শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ | পিএবিএক্স : ০৯৬১২১১২২০০, ৫৮৩১৬৪৮৩, ৮৩৩১০৭৪, বিজ্ঞাপন : ৫৮৩১৩০১৩, ০৯৬১২১১২২০০ (Ex-113) সার্কুলেশন : ৫৮৩১৩০১৩, ০৯৬১২১১২২০০ (Ex-130), ফ্যাক্স : ২২২২২২৭৩৪ | ই-মেইল : bkagojnews@gmail.com, bkagojadvt@gmail.com

অনলাইন: ০৯৬১২১১২২০০ (Ex-133, 134) | ই-মেইল : bkagojonline@gmail.com