শকুনের আক্রমণে আহত, হাসপাতালে ভর্তি

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৩৪ পিএম

ফ্রান্সে শকুনের আক্রমণ। ছবি: সংগৃহীত
ফ্রান্সের ছোট গ্রাম ভেরিয়ার্সে সম্প্রতি একটি শকুনের আক্রমণে ৮৬ বছর বয়সী বৃদ্ধা গুরুতর আহত হয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, দেশটিতে এমন ঘটনা এটাই প্রথম। আক্রমণটি কয়েক মিনিট ধরে চলে এবং শকুনের ধারালো নখ ও থাবার আঘাতে বৃদ্ধার পা এবং হাতের হাড় মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
স্থানীয় মেয়র জেরোম মৌরিয়েস জানিয়েছেন, বৃদ্ধার আঘাতের কারণে তার দুই আঙুলের স্নায়ু ছিঁড়ে গেছে। আঘাতে বৃদ্ধা আঙ্গুলগুলোর কার্যক্ষমতা হারানোর ঝুঁকিতে আছেন। শকুনটি এখনো শনাক্ত করা যায়নি এবং এটি বন্য ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর দ্য কানেকশনের।
ফ্রান্সের গর্গেস দ্যু টার্ন এলাকায় এই বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) এ ঘটনাটি ঘটেছে। দেশটির পরিবেশবিদরা ধারণা করছেন সেখানে সাম্প্রতিক সময়ে শকুন পুনরায় পরিবেশে ফিরে এসেছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষের ওপর শকুনের আক্রমণ ফ্রান্সে বা সম্ভবত বিশ্বের কোথাও ঘটেনি এর আগে। সাধারণত শকুনগুলো মৃত প্রাণী খেয়ে বেঁচে থাকে, কিন্তু সম্প্রতি তারা আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছে।
এলাকার বন্যপ্রাণী সংস্থা লিগ পোর লা প্রোটেকশন দেস ওয়াজো (এলপিও) সাধারণত শকুনগুলোর পুনর্বাসনের কাজ করে থাকে। তবে এ ঘটনায় বৃদ্ধার চিকিৎসার জন্য কোনো সহায়তা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে এলপিও, কারণ তারা শুধুমাত্র পাখির জন্য সহায়তা করে থাকে।
বৃদ্ধার চিকিৎসা খরচ বিমার আওতায় পড়েনি, ফলে খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে ভুক্তভোগীর পরিবার। পরিস্থিতি বিবেচনায় মেয়র জেরোম মৌরিয়েস বলেছেন, ‘আমরা স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার চিকিৎসার খরচ বহন করছি।’
এলাকাটিতে শকুনের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে, যার ফলে কৃষকরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। স্থানীয় কৃষক সমিতির প্রধান রেমি আগ্রিনিয়ের বলেন, শকুনগুলো শুধু মৃত প্রাণী খেয়ে বাঁচতে পারছে না, তারা এখন আক্রমণাত্মক হয়ে উঠছে এবং প্রায়ই গবাদি পশুর উপর আক্রমণ করছে।
তিনি আরো বলেন, শকুনের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এলপিওকে দায়িত্ব নিয়ে এই সমস্যা সমাধান করতে হবে, যেন ভবিষ্যতে এমন কোন আক্রমণের ঘটনা আর না ঘটে।
আরো পড়ুন: কলার ঝুড়িতে মিললো ৭০ লাখ ইউরোর কোকেন
এই অঞ্চলে ৮৫০টিরও বেশি প্রজননক্ষম শকুন রয়েছে এবং প্রতি বছর প্রায় ৫০০ নতুন শকুন জন্মগ্রহণ করছে। ৪টি প্রজাতির শকুন এই অঞ্চলে সংরক্ষিত পরিবেশে বসবাস করছে। তবে এদের আক্রমণাত্মক স্বভাব পরিবর্তনের ফলে স্থানীয়রা বিশেষ করে, কৃষকদের মধ্যে তীব্র উদ্বেগ বেড়েছে।