আস্থাভোটে হারলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী প্রচণ্ড

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২৪, ০৮:২৭ এএম

প্রধানমন্ত্রী প্রচণ্ড
পার্লামেন্টে আস্থাভোটে হেরে নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহল ওরফে প্রচণ্ডকে ক্ষমতা ছাড়তে হচ্ছে।
শুক্রবার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে আস্থা ভোট হয়। এতে ৬৩-১৯৪ ভোটে হেরে যান প্রচণ্ড। এখন নতুন সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হয়ে থাকবেন।
অন্যদিকে, রাজনৈতিক দলগুলোকে নতুন সরকার গঠনের প্রস্তাব নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাবেন প্রেসিডেন্ট রাম চন্দ্র পৌদেল।
প্রচণ্ডের ২০ মাসের টালমাটাল শাসনামলের অবসানের এই সময়ে রাজনীতিবিদ কেপি শর্মা অলির নেতৃত্বে নতুন একটি জোট সরকার গড়ার পথে রয়েছে নেপাল।
নেপালে ২০০৮ সালে ১৩৯ বছরের রাজতন্ত্র অবসানের পর থেকেই রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা চলে আসছে। ওই সময় থেকে এখন পর্যন্ত অলির নতুন সরকার হবে দেশটির ১৪তম সরকার।
গত ৩ জুলাই প্রধানমন্ত্রী প্রচণ্ডর জোট সরকারের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নেয় সবচেয়ে বড় শরিক দল অলির নেতৃত্বাধীন কমিউনিস্ট পার্টি ইউনিফাইড মার্কসিস্ট লেনিনিস্ট (ইউএমএল)। এরপর সংবিধান অনুযায়ী বাধ্য হয়েই প্রচণ্ডকে পার্লামেন্টে আস্থাভোট ডাকতে হয়।
নেপালের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভস (এইচওআর)- এ আসন রয়েছে ২৭৫টি। কোনও প্রধানমন্ত্রী আস্থাভোটে জিতে ক্ষমতা ধরে রাখতে গেলে প্রয়োজন হয় কমপক্ষে ১৩৮টি ভোট।
কিন্তু শুক্রবারের আস্থাভোটে উপস্থিত ২৫৮ আইনপ্রণেতার মধ্য থেকে মাত্র ৬৩টি ভোট পেয়েছেন পুষ্প কমল দহল ওরফে প্রচণ্ড। তার বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ১৯৪ জন আইনপ্রণেতা। আর একজন ভোটদানে বিরত ছিলেন।
সাবেক মাওবাদী বিদ্রোহী প্রধান প্রচণ্ড নেপালের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে তৃতীয় মেয়াদ শুরু করেন। তখন থেকে তিনবার তিনি জোটের প্রধান শরিক বদল করেছেন এবং পাঁচবার তাকে আস্থা ভোট ডাকতে হয়েছে। এর মধ্যে একটি আস্থাভোটেই শুক্রবার তিনি হারলেন।
ওদিকে, প্রচণ্ডর জোট সরকারের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে ইউএমএল হাত মিলিয়েছে নেপালের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল নেপালি কংগ্রেসের সঙ্গে। নেপালি কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট শের বাহাদুর দেউবা এরই মধ্যে দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে অলিকে অনুমোদন দিয়েছেন।