গঙ্গা-তিস্তা চুক্তির বিষয়ে ক্ষেপে গিয়ে বেঁকে বসলেন মমতা!

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৪, ০৩:৩৪ পিএম
কেন্দ্র বলছে যে তিস্তার পানি দিয়ে দেবো। তিস্তায় পানি আছে, যে দেবে? তিস্তার পানি দিলে উত্তরবঙ্গের একটা লোকও খাবার পানি পাবে না।’ সম্প্রতি এমন ঝাঝালো ভাষায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাক্ষাতকার নিয়ে সমালোচনা করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৮ জুলাই সোমবার রাজ্যের প্রশাসনিক ভবনে- বাংলাদেশের সঙ্গে গঙ্গা ও তিস্তা চুক্তির বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের গঙ্গা চুক্তির সময় কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কথা হয়েছিল- পশ্চিমবঙ্গ যেন সমস্যায় না পড়ে। এজন্য গঙ্গা ড্রেজিং করা হবে এমন কথাও হয়েছিল। এখন গঙ্গার পাশে যে ভাঙন ধরেছে তাতে অনেকের বাড়ি ঘর নদীতে তলিয়ে যাচ্ছে। এলাকার উন্নয়নের জন্য ৭০০ কোটি রুপির একটি প্যাকেজ তৈরি হয়েছিল। যখন এসব কথা হয়েছিল, তখন আমি সংসদ সদস্য ছিলাম। ফলে পুরো বিষয়টাই আমি জানি। কিন্তু আজ পর্যন্ত সেই অর্থ কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের দেয়নি।
তিনি বলেন, এখন আমাদের না জানিয়ে আবার বলা হচ্ছে ফারাক্কা চুক্তি নবায়ন হবে। কিন্তু, গঙ্গার চুক্তির বিষয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সাথে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর যে আলোচনা হলো- তা আমাকে জানানোই হলো না। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। এর মধ্যেই আবার বলছে, তিস্তার পানি দিয়ে দেবে। তিস্তায় কি পানি আছে যে দেবে? বাংলাদেশকে তিস্তার পানি দিলে বাংলার উত্তরবঙ্গের একটি মানুষও খাবার পানি পাবে না। কেন্দ্রীয় সরকারকে মমতা মনে করিয়ে দেন, তিস্তায় এই বর্ষায় যেমন পানি থাকে তা গ্রীষ্মে থাকে না। এই সময় বর্ষার পানি দেখে সবকিছু যেন বিবেচনা করা না হয়।
আত্রাই নদীর বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বাংলাদেশ ও চীন মিলে আত্রাই নদীতে যে বাঁধ দিয়েছে, সেটা করার সময়ও আমাদের জানানো হয়নি। যে কারণে রাজ্যের ওই অঞ্চলের বহু মানুষ খাবার পানি পাচ্ছে না। সেখানে খাবার পানির সংকট তৈরি হয়েছে। আমি আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে বিষয়টা অনেকবার বলেছি। আগে ইন্দো বাংলাদেশের মিটিংগুলোয় আমাকে ডাকা হতো। সেখানে এই সমস্যার কথা আমি বারবার তুলে ধরেছি। তারপরেও সেখানে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
গেল ২২ জুন দ্বিপাক্ষিক নানা বিষয়ে দিল্লিতে বৈঠক হয় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। সে সময় তিস্তা নিয়ে দুজনের মধ্যে আলোচনা হয়। গেল ২৪ জুন এ বিষয়ে মুখ খোলেন মমতা। সমালোচনা করেন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে।