আসামে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫২

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ জুলাই ২০২৪, ০৭:০৭ পিএম

আসামে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫২। ছবি: সংগৃহীত
ভারতের আসামে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। টানা বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২ জন প্রাণ হারিয়েছেন। ফলে আসামে বন্যায় মৃত্যু বেড়ে ৫২ জনে দাঁড়িয়েছে। বন্যার পানিতে ভাসছে কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান, দলে দলে পালাচ্ছে পশুরা, বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে ব্রহ্মপুত্রের পানি। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
প্রতিবেদনটিতে বন্যায় ২৪ লাখের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানের পরিস্থিতি খুবই শোচনীয়। উদ্যানের প্রায় ৭০ শতাংশ জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে, আতঙ্কে পালাচ্ছে পশুরা। সরকারি হিসাব অনুসারে কাজিরাঙায় চলতি মৌসুমে গন্ডার, হরিণসহ ৭৭টি পশুর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ৬২টি হরিণও রয়েছে।
জানা যায়, আসামের অন্তত ৩০টি জেলায় বন্যা পরিস্থিতির গুরুতর অবনতি হয়েছে। ১ মাস ধরে পরিস্থিতির অবনতি হয়েই চলেছে। ব্রহ্মপুত্রসহ একাধিক বড় নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে । ফলে বিস্তীর্ণ এলাকায় চাষের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, নষ্ট হচ্ছে ফসল।
আসামের বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলির মধ্যে রয়েছে ধুবড়ি, ডারাং, কছাড়, বরপেটা ও মরিগাঁও। এ পর্যন্ত ৪৭ হাজার মানুষকে আশ্রয় শিবিরে পাঠানো হয়েছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করছে রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর। তবে এখনো হাজার হাজার মানুষ ঘরছাড়া হয়েছে।
রাজ্যের শহরাঞ্চলগুলোর বেশিরভাগ এলাকা গত ৯ দিন ধরে পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে। শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা ডিব্রুগড়ে বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যগুলোতে পরিস্থিতির তত্ত্বাবধানের জন্য মন্ত্রীদের নিয়োগ করা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি। মানুষের সমস্যার কথা শুনে সবাই মিলে এর সমাধানের চেষ্টা করছি।
বন্যায় আসামের রাস্তাঘাটেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সেতু এবং একাধিক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বন্যার তোরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নিয়ামতিঘাট, গুয়াহাটি, গোয়ালপাড়া, ধুবড়িতে ব্রহ্মপুত্র এবং এর উপনদীগুলোর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে এখনো প্রবাহিত হচ্ছে। বাড়ছে বরাক নদীর পানিও। বৃষ্টি না কমলে পরিস্থিতির আরো অবনতি হতে পারে বলে মনে করছে স্থানীয় প্রশাসন।
আরো পড়ুন: মোদি সরকারের পতন আগস্টেই!