ভারতে পদদলিত হয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১২১

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৪, ০২:৩৪ পিএম

উত্তর প্রদেশের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি।
ভারতের উত্তর প্রদেশের হাথরাসে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২১ হয়েছে। মৃতদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে। মঙ্গলবার (২ জুলাই) রাজ্যের হাথরস জেলায় প্রাণহানির এ ঘটনা ঘটে। হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে।
এদিকে, পদদলিত হয়ে ১২১ জনের মৃত্যুর পর থেকেই ধর্মীয় গুরু ভোলে বাবাকে খুঁজছে পুলিশ। তাকে শীঘ্রই গ্রেপ্তার করা হতে পারে বলে জানা গেছে। খবর এনডিটিভির।
বুধবার (৩ জুলাই) উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এ ঘটনার তদন্তের জন্য বিশেষ কমিটি গঠন করার নির্দেশ দিয়েছেন। কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন আগরার অতিরিক্ত ডিজিপি।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ফুলরাই গ্রাম থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরত্বে মৈনপুরি এলাকায় রয়েছে ভোলে বাবার আশ্রম। ধর্ম প্রচারক সাকার বিশ্ব হরি ভোলে বাবার ব্যানারে দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে এই ধরনের অনুষ্ঠান করে আসছেন। পদদলিতের ঘটনার পর সেই আশ্রমে গেছেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের কঠোর শাস্তির নির্দেশ দেয়া হয়েছে প্রশাসনকে।
আরো পড়ুন : কে এই ভোলে বাবা, যার অনুষ্ঠানে প্রাণ গেল শতাধিক ভক্তের?
জানা গেছে, ধর্মসভার প্রচারক ভোলে বাবা চলে যাওয়ার সময় প্রচণ্ড বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। হাজার হাজার ভক্ত চিৎকার করে গাড়ির দিকে ছুটে যায়। তখন কেউ কেউ পাশের ক্ষেত ও কাদামাটিতে পড়ে গিয়ে পদদলিত হয়।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, অনুষ্ঠানটি ভোলে বাবার ভক্তদের একটি দল আয়োজন করেছিল। তবে কাউকে চিহ্নিত করা যায়নি। ধর্মীয় গুরুর সন্ধান এখনো পাওয়া যায়নি।
স্বঘোষিত ধর্মগুরু বাবা নারায়ণ হরি ওরফে ভোলে বাবার প্রকৃত নাম সুরাজ লাল। তিনি উত্তর প্রদেশের ইতাহের জেলার পাতিয়ালি পঞ্চায়েতের বাহাদুরনগরী গ্রামের বাসিন্দা। সাধারণ কৃষক পরিবার থেকে উঠে আসা সুরাজ একসময় উত্তরপ্রদেশ পুলিশের গোয়েন্দা শাখার হেড কনস্টেবল ছিলেন। পরে ১৯৯৯ সালে চাকরি ছেড়ে দিয়ে ধর্মীয় বাণী প্রচারে মন দেন এবং নিজের নাম পরিবর্তন করে নারয়ণ সাকার হরি রাখেন। প্রায় ১৮ বছর পুলিশ বিভাগে চাকরি করেছেন তিনি। প্রায় ২৭ বছর ধরে এই অঞ্চলে ও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে ধর্ম প্রচার করতেন। এই ঘটনার পর প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
হাথরসের ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে এরই মধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আলোচনা তৈরি হয়েছে এই বিপর্যয়ের কারণ নিয়ে। পদদলিত হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় আয়োজক সৎসঙ্গ কমিটিকে দায়ী করছেন অনেকে। অনেকে প্রশাসনের দিকে আঙুল তুলেছেন। আবার অনেকের দাবি, আগত ভক্তদের হুড়োহুড়ির কারণেই এই ঘটনা।