গণপিটুনিতে মৃত্যুদণ্ড চায় তৃণমূল সরকার

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৪, ১০:২৭ এএম

ছবি ; প্রতীকী
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে গণপিটুনির ঘটনা প্রায়ই শোনা যায়। সম্প্রতি এ ঘটনা ফের ঘটতে শুরু করায় পাঁচ বছরের পুরনো একটি বিল আলোচনায় চলে এসেছে। গণপিটুনিতে মৃত্যুদণ্ডের সাজা পাশ হয়েছিল রাজ্য সরকারের বিধানসভায়। কিন্তু এ বিলে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস সই না করায় তা এখনো আইনে পরিণত করা যায়নি বলে জানিয়েছেন রাজ্য বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার (২ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্টে প্রশ্নোত্তরের আকারে সেই অভিযোগের জবাব দিলেন রাজ্যপাল। তিনি জানান, ‘দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল (প্রিভেনশন অব লিঞ্চিং) বিল, ২০১৯’ রাজ্য বিধানসভায় পাশ হয়েছিল ওই বছরের ৩০ আগস্ট। ৪ সেপ্টেম্বর অনুমোদনের জন্য রাজ্য সরকার সেটি রাজভবনে পাঠিয়েছিল।
রাজ্যপাল আরো জানান, ‘বিলটির বিষয়ে রাজ্য সরকারের কাছে কিছু ব্যাখ্যা চেয়ে পাঠিয়েছিলাম আমি। সেই ব্যাখ্যা এখনো মেলেনি। ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর থেকে সেই ব্যাখ্যা বকেয়া পড়ে রয়েছে।’ তৎকালীন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী পক্ষ কংগ্রেস এবং বাম সংগঠনের নেতারা বিলের কিছু বিষয় সংশোধনের দাবি তুলেছিলেন বলেও জানান রাজ্যপাল।
আরো পড়ুন : কে এই ভোলে বাবা, যার অনুষ্ঠানে প্রাণ গেল শতাধিক ভক্তের?
তিনি জানান, ‘বিলের খসড়ায় সর্বোচ্চ সাজা হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের কথা ছিল না। কিন্তু বিধানসভায় পাশ হওয়া বিলে তা ছিল! এটা তো নিছক মুদ্রণ প্রমাদ হতে পারে না।’ ২০২২ সালে রাজ্য বিধানসভায় বিতর্ক পর্বে রাজভবনে পড়ে থাকা ২২টি বিলের তালিকাতেও গণপিটুনি সংক্রান্ত বিলটি ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।
কখনো চোর, কখনো ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে বা কখনো ‘ডাইনি’ অপবাদে গণপিটুনির ঘটনা এ পশ্চিমবঙ্গে প্রায়শই শোনা যায়। সে সব থামাতে ২০১৯ সালে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি বিল এনেছিলেন।
সেই বিলে গণপিটুনিতে মৃত্যু হলে অভিযুক্তদের মৃত্যুদণ্ড চেয়েছিলেন মমতা। ‘দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল (প্রিভেনশন অব লিঞ্চিং) বিল, ২০১৯’ পাশ হয়েছিল সে বছরের আগস্ট মাসেই। কিন্তু পাঁচ বছর কেটে গেলেও সে বিল আইনে পরিণত হয়নি।
প্রসঙ্গত, ১ জুলাই থেকে ভারত জুড়ে যে নতুন ফৌজদারি আইন চালু হয়েছে, তাতেও সর্বোচ্চ সাজা হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।