বাংলাদেশের সঙ্গে গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তির পুনর্নবিকরণ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারি সূত্র জানিয়েছে, এই চুক্তি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠি লিখে যে অভিযোগ করেছেন, তা সঠিক নয়। খবর: হিন্দুস্তান টাইমসের। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে না জানিয়ে ফারাক্কার পানি বণ্টন চুক্তির পুনর্নবিকরণ করা হয়নি। পূর্বে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সেচ ও জলপথ বিভাগের যুগ্ম সচিব আগামী ৩০ বছরের জন্য রাজ্যের মোট চাহিদা জানিয়েছিলেন। রাজ্যের মতামতকে সংশ্লিষ্ট করে চুক্তির পুনর্নবিকরণ নিয়ে ভাবছে সরকার।

সূত্রের দাবি, ২০২৩ সালের ২৪ জুলাই গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তির অভ্যন্তরীণ পর্যালোচনা করার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়। সেখানে একজন প্রতিনিধি পাঠানোর জন্য ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছিল। ২০২৩ সালের ২৫ অগাস্ট পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাদের জানায় যে, সেচ ও জলপথ বিভাগের চিফ ইঞ্জিনিয়রকে তারা কমিটিতে প্রতিনিধি হিসাবে মনোনীত করছে।

সূত্র জানিয়েছে, ২০২৪ সালের ৫ এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সেচ ও জলপথ বিভাগের যুগ্ম সচিব কেন্দ্রকে জানান, আগামী ৩০ বছরে ফরাক্কা ব্যারেজের ডাউনস্ট্রিমের জন্য তাদের কত অর্থ লাগবে। সোমবার (২৪ জুন) প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি অভিযোগ করেছেন, গায়ের জোরে উত্তরবঙ্গকে পানি থেকে বঞ্চিত করার চক্রান্ত করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শনিবার ঘোষণা করেছেন যে ভারত ও বাংলাদেশ ১৯৯৬ সালের চুক্তি পুনর্নবীকরণের জন্য প্রযুক্তিগত পর্যায়ের আলোচনা শুরু করবে। এর পরপরই মোদির কাছে একটি চিঠিতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন যে চুক্তির পুনর্নবীকরণের জন্য আলোচনা শুরু করার সিদ্ধান্ত ‘একতরফা’ ছিল। পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে না জড়িয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে এমন কোনো আলোচনা না করার আহ্বান জানিয়েছিলেন মোদিকে।

• আরো পড়ুন: মমতার চিঠি ভারতের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার- প্রধানমন্ত্রী