ফিলিস্তিনি বন্দীদের ওপর ইসরায়েলি নির্যাতনের তথ্য ফাঁস

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ মে ২০২৪, ০২:৩৬ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় চলমান অভিযানে একের পর এক ফিলিস্তিনিদেরকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এরপর তাদেরকে কারাগারে আটকে অমানুষিক নির্যাতন চালানো হচ্ছে। শুক্রবার (১০ মে) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন কারাগারে ইসরায়েলি বাহিনীর ভয়ংকর নির্যাতনের এই তথ্য ফাঁস করেছে।
ইসরায়েলি দুই হুইসেলব্লোয়ার এবং এক ফিলিস্তিনি বন্দির বরাতে সিএনএন জানিয়েছে, গাজার সাধারণ মানুষকে ধরে নেগেভ মরুভূমির একটি বন্দিশালায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের ব্যাপক মারধরসহ বিভিন্নভাবে শারীরিক নির্যাতন করা হয়।
এক ইসরায়েলি জানান, গাজার এসব জনসাধারণকে কোনো গোপন তথ্যের জন্য মারধর করা হয়নি। শুধু প্রতিশোধ নিতে তাদের মারধর করা হয়েছে। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাসের হামলার জন্য এ শাস্তি দেয়া হয়েছে। এছাড়া বন্দিশালায় পান থেকে চুন খসার মতো সামান্য কিছু করলেই তাদের শাস্তি দেয়া হয়।
অপর এক ইসরায়েলি তেইমানের একটি কারাগারের ছবি সিএনএনকে দিয়েছেন। এ এলাকাটি গাজা থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
ছবিতে দেখা যায়, লোহার তারের বেড়া দেয়া একটি খাঁচায় কয়েকশ ফিলিস্তিনি রয়েছেন। তাদের সকলের পরনে ধূসর রঙের ট্রাউজার রয়েছে। কারাগারে বন্দি থাকা এক ফিলিস্তিনি চিকিৎসক সিএনএনকে বলেন, তেইমানের বন্দিশালায় প্রায়ই ঘুমন্ত ফিলিস্তিনিদের ওপর কুকুর ছেড়ে দেয়া হতো। এভাবে রাতে নির্যাতন করা হতো।
গাজার ইন্দোনেশিয়া হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. মোহাম্মদ আল রানকে আটক করে ইসরায়েলি বাহিনী। কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তার শারীরিক অবস্থার ব্যাপক অবনতি দেখা দেয়।
বন্দিরা জানান, তাদের একটি অস্থায়ী হাসপাতালে রাখা হয়েছিল। সেখানে তাদের শরীরের সব জামাকাপড় খুলে নেওয়া হয়। এসময় তাদের কেবল ডায়পার পরিয়ে রাখা হয়। এছাড়া ছোট পাইপের মাধ্যমে তাদের সেখানে খাবার সরবরাহ করা হয়। এমনকি হাসপাতালে বেডের সঙ্গে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে আটকে রাখা হয়।
বন্দিদের অনেকে তাদের হাতে হ্যান্ডকাফের কারণে সৃষ্ট ক্ষতচিহ্ন দেখিয়েছেন। এছাড়া হ্যান্ডকাফ পরার কারণে অনেকের হাতে ঘায়ের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে কয়েকজনের হাতও কেটে ফেলা হয়েছে বলেও জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।