ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ নিয়ে আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে রাহুল গান্ধীর বৈঠক

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:২৬ পিএম

বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কিংবা ভবিষ্যতে যেকোনো সরকারের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী ভারত। ছবি : সংগৃহীত
ভারতের বিরোধীদলীয় নেতা ও ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধী চারদিনের সফরে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছেন। এই সফরে ভারতীয় প্রবাসীদের পাশাপাশি, মার্কিন আইনপ্রণেতা, ব্যবসায়ী ও একাডেমিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি।
তবে এই সফরে তিনি বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সেখানে বৈঠকে অংশ নেয়ার পাশাপাশি সংবাদ সম্মেলনেও কথা বলেছেন রাহুল। বাংলাদেশে প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, নির্দিষ্ট কোনো দল কিংবা ব্যক্তির সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক নয়, বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কিংবা ভবিষ্যতে যেকোনো সরকারের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী তারা। বাংলাদেশে ‘উগ্রবাদ’ উত্থানের হুমকি ভারতের জন্য উদ্বেগ জানিয়ে রাহুল বলেছেন, পররাষ্ট্রনীতির প্রধান প্রধান ইস্যুতে তার দল কংগ্রেস ক্ষমতাসীন মোদি সরকারের পাশে আছে।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের মর্যাদাপূর্ণ জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ-পাকিস্তানসহ বেশ কয়েকটি ইস্যুতে মোদির নীতিকে সমর্থনের কথা জানান রাহুল গান্ধী।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক, সন্ত্রাসবাদের প্রবাহ বন্ধ না করা পর্যন্ত পাকিস্তানের সঙ্গে কোনো আলোচনা না করার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। এছাড়াও ইসরায়েল ইস্যু ও বাংলাদেশে চরমপন্থি উপাদানসহ ভারতের পররাষ্ট্রনীতির প্রধান প্রধান ইস্যুতে তার দল কংগ্রেস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন বিজেপির পাশে আছে। তবে ভারতের ৫৪ বছর বয়সী এই নেতা চীনকে নিয়ে মোদির নীতির সঙ্গে একমত পোষণ করেননি। চীনা সৈন্যরা আকারে দিল্লির আয়তনের সমান লাদাখে ভারতীয় অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন।
আরো পড়ুন : জনগণ নয়, শেখ হাসিনার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল ভারতের
বাংলাদেশের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে রাহুল গান্ধী বলেন, বাংলাদেশে চরমপন্থি উপাদান নিয়ে ভারতে উদ্বেগ রয়েছে এবং (বিজেপি সরকারের মতো) আমাদেরও সেই উদ্বেগ রয়েছে। তিনি বলেন, তবে, আমি আত্মবিশ্বাসী যে- বাংলাদেশে পরিস্থিতি স্থিতিশীল হবে এবং আমরা বর্তমান সরকার বা তার পরে অন্য কোনো সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে সক্ষম হবো।
এর আগে একইদিন যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট ক্যাপিটলে একদল আইনপ্রণেতার সঙ্গে বৈঠক করেন রাহুল গান্ধী। সেখানে বাংলাদেশের ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
রাহুল গান্ধী বলেন, বৈঠকে আমরা এটা (বাংলাদেশ ইস্যু) উত্থাপন করেছি এবং তারা এ বিষয়ে আমাদের সঙ্গে কথাও বলেছে।
ভারতের এই বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, দেখুন, আমরা যেকোনো ধরনের সহিংসতার বিরুদ্ধে। এবং আমরা এটার অবসান চাই। আর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এটার অবসান ঘটানো বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্ব। আমাদের দিক থেকে, আমাদের সরকারের দায়িত্ব (বাংলাদেশকে) চাপ দেয়া যাতে সহিংসতা বন্ধ হয়।