চিকিৎসক খুনের ঘটনায় মমতাকে নিয়ে শ্রীলেখার বিস্ফোরক মন্তব্য

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ আগস্ট ২০২৪, ১১:২৪ এএম

অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজে এক তরুণী চিকিৎসককে হাসপাতালের ভেতরেই ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে উত্তাল দেশটি। এ ঘটনায় ১৪ আগস্ট রাত দখলের পর ১৫ আগস্ট ফের অনেকে আরজি কর হাসপাতালে গিয়েছিলেন প্রতিবাদ জানাতে আর তাদেরই অন্যতম ছিলেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র।
সেখানে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি। ভারতীয় গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে শ্রীলেখা মিত্র জানান, আরে ধনধান্যে পুষ্পে ভরা, আপনি ছাড়ুন তো দিদি। আপনি অনেক নাটক করেন। আপনি ওই সিরিয়ালে, ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে সাদা পোশাক পরে চশমা পরে গিয়ে বসে থাকেন।
শ্রীলেখা আরো বলেন, আমি জানি এর পরে আপনারা আমার আরো খারাপ অবস্থা করবেন। এমনিতেই করেছেন। আরো করবেন আমি জানি। কিন্তু সবাইকে আপনি কিনতে পারেননি। আর তাদের মধ্যে একজন শ্রীলেখা মিত্র।
আরো পড়ুন : চিকিৎসক খুনে প্রতিবাদমুখর টালিউড
এরপরই অভিনেত্রীকে কন্যাশ্রী প্রকল্প, পুজোয় ক্লাবকে অনুদান দেয়া নিয়েও প্রশ্ন করা হলে শ্রীলেখা বলেন, ‘এই যে কন্যাশ্রী প্রকল্পের যে টাকাটা দিচ্ছেন, এই যে ৮৫ হাজার টাকা ক্লাবে দিচ্ছেন মাটির দুর্গাপুজো করার জন্য আর এখানকার মেয়েরা, ওরা কেউ দুর্গা সেটা বলছি না। সাধারণ মেয়ে। সাধারণ মেয়ে একজন, তার কোনো নিরাপত্তা নেই।’
অভিনেত্রীর ভাষ্য, ‘তার আরেকটা বাড়ি হল তার ওয়ার্ড যেখানে সে কাজ করছে সেখানে তার কোনো নিরাপত্তা নেই। আপনি কি কন্যাশ্রী করছেন? ওই টাকায় হাসপাতালগুলোকে উন্নত করুন না। আসল অপরাধীদের ধরুন না, নিজের দলের হলেও একটা উদাহরণ তৈরি করুন না।’
নারী চিকিৎসকের পরিবারকে মুখ্যমন্ত্রী যে টাকা দিতে চেয়েছেন সেটা নিয়ে শ্রীলেখা বলেন, ‘আর আপনারা কে যে ঠিক করছেন একজন বাবা মায়ের কাছে তাদের মেয়ের দাম দশ লাখ টাকা! টাকা দিলেই হয়ে গেল দিদি? বাবা মায়েরা শান্ত হয়ে যাবেন?’
উল্লেখ্য, গত ৯ আগস্ট ভোরের দিকে কলকাতার শ্যামবাজার এলাকায় অবস্থিত নামকরা আর জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকদের বিশ্রামকক্ষ থেকে এক নারী চিকিৎসকের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার হয়। পরে ময়নাতদন্তে জানা যায়, ওই চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছিল। তবে মরদেহ উদ্ধারের পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেছিল যে ওই চিকিৎসক আত্মহত্যা করেছেন। কর্তৃপক্ষের এই বক্তব্যের পর প্রথমে ফুঁসে ওঠে কলকাতা, পরে গর্জে ওঠে পুরো পশ্চিমবঙ্গ।