অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন, দেশে বর্তমানে যে উদ্ভূত পরিস্থিতি, তাতে মানুষের মনে বহু প্রশ্নের জন্ম নিয়েছে।  সেগুলোর উত্তর খুঁজে পাওয়ার জন্যই আপনাদের সঙ্গে বসেছি।

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দেশের চলমান বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা করতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ছাত্র সংগঠনের পর ধর্মীয় সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তিনি। বিকেল ৪টার পর রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এ বৈঠক শুরু হয়। এসময় প্রধান উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের পরপরই এ সরকার যখন গঠন হয়, তখন আমি বিমানবন্দরে সবার কাছে আন্তরিকভাবে একটা আহ্বান জানিয়েছিলাম। আমি বলেছিলাম আমরা একটা পরিবার। আমাদের নানা মত থাকবে। নানা ধর্ম ও নানা রীতিনীতি থাকবে।

অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান বলেন, কিন্তু আমরা সবাই কিন্তু একই পরিবারের সদস্য। এটাতেই জোর দিয়েছিলাম। আমরা মতপার্থক্য সত্ত্বে কারো শত্রু নই। সবাই একই কাতারে চলে আসি। আমাদের পরিচয় আছে, আমরা বাংলাদেশি এবং এক পরিবারের সদস্য।

তিনি বলেন, যখন শপথ গ্রহণ করলাম, শুনলাম যে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যচার চলছে। এরপরই আমি খোঁজ-খবর নিই। ঢাকেশ্বরী মন্দিরে চলে যাই। সেখানে আমাকে কিছু দাবি-দাওয়া দেয়া হলো। তবে একটি দাবি হচ্ছে-আমাদের সবার সমান অধিকার। বলার অধিকার, ধর্মের অধিকার ও কাজকর্মের অধিকার। সেগুলো আসবে সংবিধান থেকে এবং রাষ্ট্রের দায়িত্ব সেগুলো নিশ্চিত করা।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমি তাদের আন্তরিকভাবেই বলেছিলাম যে, এটা নিশ্চিত করার ব্যাপারে আমরা দেখব । সংবিধান নাগরিককে যে দায়িত্ব দিয়েছে, সেগুলো তার কাছে পৌঁছে দেয়া ও নিশ্চিত করা আমার কাজ।

তিনি আরো বলেন, তারপরও শুনলাম যে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হচ্ছে। তো আমি সবার সঙ্গে বসলাম এবং কথা বললাম যে এখান থেকে কী করে তাদের উদ্ধার করতে পারি? তখন পূজার সময় এল। আমি মনে করলাম এই সময়ে হামলা হবে। ফলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, যেন হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর যাতে কোনো রকম হামলা না হয়।