পুলিশ সদর দপ্তর
৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে লুণ্ঠিত অস্ত্র জমা না দিলে ব্যবস্থা

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অস্ত্র জমার নির্দেশ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে দেশের বিভিন্ন থানায় হামলা ও লুটপাট চালানো হয়। আন্দোলনে জনস্রোতের মুখে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটলে দেশের ৪৫০টিরও বেশি থানায় অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। বিভিন্ন থানা থেকে অস্ত্র গোলাবারুদ লুট করে নেয়া হয়। এমনকি দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের কাছ থেকেও অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়া হয়। থানাগুলোতে লুটপাটের ঘটনার পর পুলিশ কর্মবিরতিতে যায়। পরে ঊর্ধ্বতনদের আশ্বাসে কর্মবিরতি ভেঙে দায়িত্বে ফিরে লুট করা অস্ত্র ও গোলাবারুদ জমা দেয়ার আহ্বান জানানো হয়। অনেকেই এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে অস্ত্র গোলাবারুদ জমা দিলেও এখনো খোঁজ মিলছে না শত শত অস্ত্রের।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পুলিশের লুণ্ঠিত অস্ত্র ও গোলাবারুদ জমা দেয়ার সময় বেঁধে দিল পুলিশ। এই সময়ের মধ্যে অস্ত্র জমা না দিলে সাঁড়াশি অভিযান চালানোর পাশাপাশি কারো কাছে পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানানো হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার পুলিশ সদর দপ্তরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সম্প্রতি বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন থানা/ইউনিট/ডিউটিস্থল হতে অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের লুট হওয়া কিছু অস্ত্র ও গোলাবারুদ ইতোমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে। লুণ্ঠিত অবশিষ্ট অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। কোনো ব্যক্তির কাছে এ ধরনের অস্ত্র ও গোলাবারুদ রক্ষিত থাকলে আগামী ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিকটস্থ থানায় জমা দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে আন্দোলনের সময় লুণ্ঠিত অস্ত্র ও গোলাবারুদের মধ্যে গতকাল পর্যন্ত ১ হাজার ৮৯০টি বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র, ৯২ হাজার ৯১ রাউন্ড গুলি, ২ হাজার ৮৮০ টিয়ার গ্যাস সেল এবং ২৯৬টি সাউন্ড গ্রেনেড উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।