ইউরোপে প্রচণ্ড গরমে বছরে পৌনে দুই লাখ মানুষের মৃত্যু

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৩ আগস্ট ২০২৪, ১০:৪৪ এএম

বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় ইউরোপে দ্রুত তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। ছবি : সংগৃহীত
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে প্রতিদিনই পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধি পেয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গ্রীষ্মকালের ব্যাপ্তি বাড়ছে। পূর্ববর্তী বছরগুলোর তুলনায় দীর্ঘ হচ্ছে গ্রীষ্মকালীন তাপপ্রবাহ। ফলে উষ্ণতাজনিত নানা কারণে প্রতিদিন মৃত্যু হচ্ছে অসংখ্য মানুষের। বিশ্বজুড়ে হিটস্ট্রোক এবং গরমজনিত বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করছে মানুষ।
ইউরোপে প্রচণ্ড গরমে বছরে এক লাখ ৭৫ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ হারাচ্ছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় ইউরোপের দেশগুলোতে দ্রুত তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। শুক্রবার (২ আগস্ট) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিউএইচও) ইউরোপ শাখা এই তথ্য জানিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইউরোপ শাখা ইউরোপ মহাদেশ এবং মধ্য এশিয়ার মোট ৫৩টি দেশের জনগণের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা করে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে। খবর এএফপির।
আরো পড়ুন : গুজবের ইন্ধনে দাঙ্গা, সামাজিক মাধ্যমগুলোকে সতর্ক করলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী
ডব্লিউএইচও বিবৃতিতে জানিয়েছে, ২০০০ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর বিশ্বে অন্তত ৪ লাখ ৮৯ হাজার মানুষের হিটস্ট্রোক ও তাপজনিত বিভিন্ন শারীরিক অসুস্থতায় ভুগে মৃত্যু হয়েছে। এই মৃতদের মধ্যে গড়ে ১ লাখ ৭৬ হাজার ৪০ জন ইউরোপের বাসিন্দা। অর্থাৎ প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে উষ্ণতাজনিত কারণে যত মানুষ মারা যান, তার ৩৬ শতাংশই ইউরোপের বাসিন্দা।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, প্রতি বছর বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির তুলনায় ইউরোপের দেশগুলোতে তাপ বাড়ছে দ্বিগুণ হারে। এই তাপ বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে গত দুই দশকে ইউরোপে তাপজনিত অসুস্থতায় মৃত্যু বেড়েছে অন্তত ৩০ শতাংশ।
ডব্লিউএইচও’র ইউরোপ শাখার পরিচালক হ্যান্স ক্লাগ বলেন, হিটস্ট্রোকের পাশাপাশি তাপজনিত যেসব অসুস্থতায় ইউরোপে মৃত্যু ঘটছে, সেগুলো হলো হৃদযন্ত্রের সমস্যা, শ্বাসকষ্ট, সেরেব্রাল-ভাসকুলার সমস্যা, এবং ডায়াবেটিস সংক্রান্ত জটিলতা। বৈশ্বিক তাপপ্রবাহ বৃদ্ধির চুড়ান্ত মূল্য জীবন দিয়ে পরিশোধ করতে হচ্ছে মানুষকে।