সাংবাদিককে মারার হুমকি দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগালি পরীমণির, অডিও ফাঁস

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:০০ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
সবার হয়তো জানা, হাতে কাজ নেই তাই অনেক দিন আলোচনার বাইরে ছিলেন। হঠাৎ হাঁস রান্নার শিরোনামে পুনরায় আলোচনা এসেছেন। নেটিজনদের নানা কথায় রেগেমেগে বসেছেন হয়তো! বাকি আছে হয়তো টেপা মাছের ভর্তা শিরোনাম…
বলছিলাম দেশের সবচেয়ে আলোচিত ও সমালোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণির কথা। হাফ ডজন বিয়ে আর নিজের অদ্ভুত সব কর্মকাণ্ডের কারণে এ নায়িকা থাকেন আলোচনার শীর্ষে। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অপকর্মের কারণে পরীকে থানা পুলিশের ঝামেলায়ও পড়তে কম হয়নি।
আবারও নতুন করে আলোচনায় এলেন পরীমণি। সম্প্রতি একটি জাতীয় পত্রিকার নারী সাংবাদিক মেহনাজ খানকে মারার হুনকি দিয়েছেন তিনি।পাশাপাশি অকথ্য ভাষায় গালিও দিয়েছেন। গতকাল রাতে অডিও রেকর্ড ফাঁস করেছেন সেই নারী সাংবাদিক।
সেই অডিওতে শোনা যাচ্ছে, রেগে আগুন হয়ে উঠেছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরী। একের পর এক গালি দেয়ার পাশাপাশি সেই নারী সাংবাদিককে দেখে নেয়ার হুমকি দিচ্ছেন।
পরীর এরকম আচরণের কারণ কি? উত্তরে মেহনাজ বলেন, একটি অনলাইনের নিউজের থামনেইলে পরী ও তার ছেলের ছবি শেয়ার করে আমি ক্যাপশনে লিখেছিলাম, “আর কি? এমন মানুষকে বিশ্বাস করা যার মাশুল বাচ্চারও দিতে হয়!”
সাংবাদিক মেহনাজের দাবি, তিনি একজন সিংগেল মাদার। তার ডিভোর্স হয়েছে ৫ বছর আগে। এ কারণে নিজের বাচ্চাকে উদ্দেশ্য করে এই পোস্ট দিয়েছেন। কিন্তু এরপর তা নিয়ে নাকি বাধে বিপত্তি। পরীমণি ভাবে তার ছেলে রাজ্যকে নিয়ে এই পোস্ট দেয়া হয়েছে। তাই আকারণে সাংবাদিককে ফোন দিয়ে গালি- গালাজ করেন তিনি। শুধু তাই নয়, গাড়ি নিয়ে নাকি মেহনাজের অফিসের নিচেও যান পরী। এরপর একজন বিনোদন সাংবাদিক তাকে বুঝিয়ে সেই মুহূর্তে পরিস্থিতি সামাল দেন।
এছাড়া মেহনাজ খান এক দীর্ঘ পোস্টে ফেসবুকে লিখেছেন, গতকাল দেশের প্রথম সারির নায়িকা পরীমণি কোনো কারণ ছাড়াই আমাকে অকথ্যভাবে গালাগালি করেন। আমাকে হুমকি দেন। আমার অফিসে এসে আমাকে মারবে, আমাকে নাকি দেখে নিবে, আমার নাকি চাকরি খেয়ে দিবে। তার ভাষা ও কথা আপনারা স্ক্রিন রেকর্ডে শুনতেই পারছেন।
আমার একটা স্ট্যাটাসকে ঘিরে উনি এই কাণ্ড ঘটালেন। আমি একজন সিংগেল মাদার। আমার একটা মেয়ে আছে। আমি একটা নিউজ শেয়ার করে আমার নিজ পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে মেয়েকে নিয়ে ক্যাপশনটা লিখি। শুধু আমার ক্যাপশনে পরীমণি ও তার ছেলের ছবি থাকায় সেই চিত্রনায়িকা এরকম অপ্রত্যাশিত কাহিনি ঘটান। মা হিসেবে দাবি করছে, অথচ অন্য একজন মা কে অপমানিত করলো।
আমি জানতে চাই আমার ভুলটা কোথায়? শুধু দাড়ি কমার জন্য একজন নায়িকা এমন আচরণ করবে? আমি কোনো নিউজও করিনি পরীমণির বিরুদ্ধে। মাত্র আমার পার্সোনাল প্রোফাইলের একটা ক্যাপশনকে ঘিরে তার কেন মনে হলো যে তাকে নিয়ে লিখেছি। আর আমি তো খারাপ কিছু বলিওনি তার সন্তান নিয়ে। আমি জানি সিংগেল মাদারের লাইফ কত কঠিন হয়।
পরীর জন্য আমার খুব সহানুভূতি ছিল। কিন্তু তারকারা মনে হয় দূর থেকেই সুন্দর। বিনা কারণে রাত ১২টা পর্যন্ত আমাকে যে হেনস্তা করলো এবং আমাকে যে মারার হুমকি দিয়েছে। এজন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতে বাধ্য হলাম এবং আমার ও আমার পরিবারের যদি কিছু হয় এর দায়ী হবে পরীমণি।
এ বিষয়ে নায়িকার কাছে বিস্তারিত জানতে বেশ কয়েকবার ফোনে করলেও তাকে পাওয়া যায়নি। এছাড়া সাবেক এমপি নিক্সন চৌধুরীর সঙ্গে অবৈধ প্রেমের সম্পর্ক জড়িয়ে এরকম একাধিক সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করার ঘটনার নজির আছে পরীর।