যে গোপন মন্ত্রে শাহরুখ-সালমান-হৃত্বিক সুপারস্টার, জানালেন মিঠুন

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ জুন ২০২৪, ০৭:২২ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
যে কোন সিনেমা মুক্তির প্রক্রিয়ায় সিঙ্গেল স্ক্রিন ও মাল্টিপ্লেক্সের বিষয়টি এখনো চলে আসে। বিষয়টি ভেঙে বললে সিঙ্গেল স্ক্রিন মানে যেখানে একটি স্ক্রিন থাকবে। আরো সহজ কথায় বলতে গেলে সিঙ্গেল স্ক্রিনে এক সময়ে খালি একটি সিনেমাই প্রদর্শন করা সম্ভব আর মাল্টিপ্লেক্সে একই সময়ে একাধিক সিনেমা প্রদর্শন সম্ভব। অর্থাৎ মাল্টিপ্লেক্সে এক রুমে (হলে) যদি একটা সিনেমা চলে তাহলে একই সময়ে অন্য রুমেও (হলে) আরো অন্যান্য সিনেমার প্রদর্শন সম্ভব।
কিন্তু কালক্রমে সবকিছুতেই পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে। সিনেমার ক্ষেত্রেও তেমনটি তাই। বেশ কয়েক বছর আগে সিঙ্গেল স্ক্রিনে ছবি দেখার একটা দারুণ চাহিদা ছিলো। কিন্তু, বর্তমান সময়ে সিঙ্গেল স্ক্রিন প্রায় নেই বললেই চলে। বলিউডে এই সিঙ্গেল স্ক্রিনের মাধ্যমেই সুপারস্টার হয়েছেন বিগবি অমিতাভ থেকে কিং খান খ্যাত শাহরুখ খান, সালমান খান, আমির খান, হৃত্বিকের মতো অভিনেতারা। বলিউডের সেই সিক্রেট শেয়ার করেছেন ভারতীয় সিনেমার আরেক সুপারস্টার মহাগুরু লেজেন্ড মিঠুন চক্রবর্তি। টলিউড থেকে বলিউড, একটা সময় ইন্ডাস্ট্রিতে একচেটিয়া রাজত্ব করেছেন এ অভিনেতা। বর্তমানে পা দিয়েছেন ৭৩বছর বয়সে।
সম্প্রতি ভারতের চলচ্চিত্রের সেকাল-একাল নিয়ে কথা বলেছেন মিঠুন। তিনি তার বক্তব্যে ব্যখ্যা দিয়ে বলেছিলেন, কী কারণে শাহরুখ খান, সালমান খান, আমির খান, হৃত্বিক রোশনদের স্টারডমের জৌলুষ ফীকে হয় না। মিঠুনের মতে, মূলত সিঙ্গল স্ক্রিনের বদৌলতেই তাদের ক্যারিয়ার এখনো তরুণ। অর্থাৎ সিঙ্গেল স্ক্রিনে একটানা দীর্ঘদিন সিনেমা থাকার জন্যই এ তারকাদের স্টারডম এত মজবুত। বর্তমানে সিঙ্গল স্ক্রিন প্রায় বিলুপ্ত। সে কারণেই বর্তমান সময়ে সুপারস্টারও তৈরি হয় না।
তিনি বলেন, এখন ভারতের মেট্রো শহরগুলোতে সিঙ্গেল স্ক্রিন প্রায় দেখাই যায় না। চারিদিকে মাল্টিপ্লেক্সের রমরমা। সেখানে একটি সিনেমা মাত্রে কয়েকদিন চলার পরেই তা চলে আসে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে।
এ প্রসঙ্গে বলিউড হাঙ্গামাকে দেয়া একটি সাক্ষাৎকারে সুপারস্টার মিঠুন বলেছিলেন, 'আজকের দিনে আর সুপারস্টার তৈরি হয় না। অমিতাভ বচ্চন, শাহরুখ খান, সালমান খান, আমির খান, হৃত্বিক রোশন আজও সুপারস্টার। আর সেই জন্য সিঙ্গল স্ক্রিনের জমানাকে অনেক ধন্যবাদ। ওই সিঙ্গল স্ক্রিনের জন্যই ওরা ক্যারিয়ারে সফল।'
মিঠুন আরো বলেন, 'বর্তমান সময়ে তো একটি সিনেমার ব্যবসার মেয়াদ দুই থেকে তিন দিন। ফলে কোন অভিনেতারই সুপারস্টার হওয়ার সুযোগটাই আসে না। তবে যারা এই পরিস্থিতিতেও চেষ্টা করে চলেছেন তারা হয়তো সফল হচ্ছেন।'