রুপালি পর্দার স্বর্ণালি সময় পেরিয়ে গত কয়েক বছর ধরে টিভি সেট মাতাচ্ছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গের দিদিদের নিয়ে তার টিভি শো দিদি নাম্বার ওয়ান।  

কলকাতার অন্যতম সফল টিভি শো এটি। দিদি তো বটেই, দাদাদের কাছেও এই শোয়ের আবেদন অনেক।

সেই দাদা-দিদিরা এবার খানিক দুশ্চিন্তায় ডুবলেন। প্রথমবার তাদের প্রিয় অভিনেত্রী রাজনীতির ময়দানে নেমেই হয়েছেন সফল। অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূলের প্রার্থী হয়ে ছিনিয়ে নিয়েছেন বিজয়।

তবে কি ‘দিদি নম্বর ওয়ান’ শোয়ের ভবিষ্যৎ এবারে খানিকটা অনিশ্চিত হয়ে গেছে। খানিক অভয় দিয়ে রচনা জানালেন, ‘কোনো দিকেই অসুবিধা হবে না। দুই দিকের দায়িত্বই পালন করবো। হয়তো কষ্ট হবে, কিন্তু অনুষ্ঠানটি আমি চালিয়ে নেবো।’

প্রায় তিন মাস ধরে লাগাতার প্রচারণায় মাঠে ছিলেন রচনা। গোটা প্রচার জুড়েই ছিল নানান বিতর্ক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম জুড়ে তাকে নিয়ে দেখো গেছে মিমের বন্যা। জেতার পর সেই মিম প্রস্তুতকারকদেরই ধন্যবাদ জানালেন রচনা। 

রচনা বললেন, ‘আমি তো তাদের দোষ দিচ্ছি না। এটা তাদের রুজি-রোজগারের জায়গা। এই মিমের কারণে যে প্রচারটা পেয়েছি, তা আমার পক্ষেই গিয়েছে। কারণ, যে কোনো ধরনের প্রচারই কিন্তু আসলে প্রচার । ওরা আমাকে যে হাইপটা দিয়েছে, তাতে সারা পৃথিবীর লোক জেনে গিয়েছে কে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।’ 

নির্বাচনে রচনার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আরেক অভিনেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। তবে নিজে জিতে অন্যকে খাটো করায় বিশ্বাসী নন রচনা। প্রতিপক্ষ লকেট বিজেপির একবারের জয় পাওয়া সংসদ সদস্য। তাই প্রথম থেকেই নিজের দুই বিশ্বস্ত সৈনিককে নিয়ে ময়দানে নেমেছিলেন বলেই জানালেন অভিনেত্রী। 

রচনার কথায়, ‘আমার এই জয়ের কৃতিত্ব দেবো প্রবালকে (অভিনেত্রীর স্বামী) ও অশেষ পালকে (অভিনেত্রীর দাদা)। এই দুজন অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে।’

আরো পড়ুন: নিজের বাড়িতে ‘ক্ষতবিক্ষত’ হলেন শাকিবের নায়িকা