মাহমুদুন্নবীর দুষ্প্রাপ্য ছবি খুঁজে পেয়ে উচ্ছ্বসিত সামিনা চৌধুরী

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৩ মে ২০২৪, ০৬:২৬ পিএম

মাহমুদুন্নবী ও সামিনা চৌধুরী
বাংলা সংগীতের কিংবদন্তি গায়ক মাহমুদুন্নবী। তার গানে বুঁদ হননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। মৃত্যুর কয়েক দশক পরও শ্রোতাদের মনের জমি দখল করে আছেন তিনি। বাংলা সংগীতের পাঠশালা বলে বিবেচনা করা হয় তাকে।
তবে বরেণ্য এই গায়কের ছবি খুব একটা পাওয়া যায় না। এমনকি পরিবারের কাছেও রয়েছে হাতেগোনা কয়েকটি। সেসব দেখেই পিতার স্মৃতিচারণা করেন গায়কের সন্তান সামিনা চৌধুরী, ফাহমিদা নবীরা। আরও কিছু ছবি যদি সংগ্রহে থাকত— আক্ষেপ তাদের।
শুক্রবার (৩ মে) এই আফসোস কিছুটা হলেও কমল। মাহমুদুন্নবীকন্যা ও দেশের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী সামিনা চৌধুরীর হাতে এলো গায়কের দুষ্প্রাপ্য একটি ছবি। যা দেখে আবেগ ধরে রাখতে পারেননি তিনি। নেটিজেনদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন অনুভূতি।
নিজের ফেসবুকে ছবিটি প্রকাশ করেছেন সামিনা চৌধুরী। সঙ্গে লিখেছেন, ‘এইমাত্র ছবিটা সংগ্রহে এলো! কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী মাহমুদুন্নবীর দুষ্প্রাপ্য একটি ছবি! অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ মোস্তাফিজুর রহমান খোকন আপনাকে!

তাকে ধন্যবাদ জানাতেই তিনি জানালেন, আপু, আমি তো আপনার আব্বুর শুধু ভক্ত বললে ভুল হবে। মহাভক্ত বলতে হবে। যার যেটা নেশা। আমি কাজের ফাঁকে সারাক্ষণ আপনার আব্বুর গানগুলো বেশি শুনি।
এ সময় পিতার ছবি পেয়ে আপ্লুত সামিনা চৌধুরী লিখেছেন, একজন শিল্পীর এর বেশিকিছু লাগে না মনে হয়। ভক্তদের মাঝে তিনি বেঁচে আছেন থাকবেন। আব্বাকে আপনাদের দোয়ায় রাখবেন।
এ প্রসঙ্গে সামিনা চৌধুরী বলেন, আমাকে মেসেঞ্জারে ছবিটি দিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান খোকন। কী সুন্দর একটি ছবি! রেডিও পাকিস্তানে গান পরিবেশনের সময় তোলা। সামনে মাইক্রোফোন রয়েছে। নিচে আব্বার নামটি বড় করে লেখা। ছবিটি দেখে আমার এত ভালো লেগেছে যে আবেগী হয়ে গেছি। মনে হয়েছে এখনই ছবিটি সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করব আমি। আমার অনুভূতি সবার সঙ্গে ভাগ করে নেব।
পরিবারের কাছে মাহমুদুন্নবীর অল্প কিছু ছবি সংগ্রহে আছে উল্লেখ করে সামিনা চৌধুরী বলেন, আব্বার হাতেগোনা কয়েকটি ছবি আছে আমাদের কাছে। আসলে তখন তো ছবি তোলা এতটা সহজলভ্য ছিল না। বিভিন্ন সময় তোলা হলেও সংগ্রহ করা কঠিন ছিল।
অগণিত ভক্ত রয়েছে মাহমুদুন্নবীর। প্রিয় গায়কের ছবি তাদের কাছে থাকা অস্বাভাবিক না। কারও কাছে গায়কের ছবি থাকলে সামিনা চৌধুরীকে পাঠানোর আহ্বান জানান গায়িকা।
ষাটের দশক থেকে আশির দশককে এদেশের আধুনিক গানের সোনালী সময় বলা হয়। তখনকার একজন দাপুটে কণ্ঠশিল্পী মাহমুদুন্নবী। উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠ গায়কদের নামের সঙ্গে আজও উচ্চারিত হয় তার নাম । যার গায়কীর প্রশংসা করেছেন মান্না দে, সুবল দাস, গজল সম্রাট মেহেদী হাসানের মতো উপমহাদেশের বিখ্যাত সংগীতজ্ঞরা।
প্রসঙ্গত, অসংখ্য কালজয়ী গান রয়েছে মাহমুদুন্নবীর। তার জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে ‘তুমি যে আমার কবিতা’, ‘তুমি কখন এসে দাঁড়িয়ে আছ আমার অজান্তে’, ‘ও গো মোর মধুমিতা’, ‘সালাম পৃথিবী তোমাকে সালাম দুনিয়া কে করেছ টাকার গোলাম’, ‘আমি সাত সাগর পাড়ি দিয়ে’ অন্যতম।