শীর্ষে পৌঁছনো সবার লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যপূরণ হয় হাতেগোনা কতিপয় মানুষের। অনেকে অপেক্ষা করে থাকেন উপযুক্ত সময়ের। কেউ আবার পরিশ্রমে বিশ্বাসী। বড় অংশ বিশ্বাস করেন ভাগ্যে। এবং নিজেদের ভাগ্য ফেরাতে তারা দ্বারস্থ হন জ্যোতিষ শাস্ত্রের। শুধু সাধারণ মানুষই নন, এই বিশ্বাস তারকাদেরও। আগের এবং এই প্রজন্মের বহু বলিউড তারকা প্রয়োজনে পরামর্শ নিয়েছেন জ্যোতিষীর।

বলি তারকা সোনু সুদের কথাই ধরা যাক। অতিমারির সময় তার অন্য পরিচয় পেয়েছেন সবাই। পরোপকার, অক্লান্ত পরিশ্রম, সাধারণের পাশে দাঁড়ানোর মানসিকতা তাকে অন্য জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে। জানেন কি, এই সোনুও জ্যোতিষে বিশ্বাসী! তিনি নিজে সে কথা স্বীকার করেছেন। তার দলে আর কারা? সত্যিই কি তারা সুফল পেয়েছেন?

আনন্দবাজার অনলাইন ঝাঁকিদর্শন দিয়েছিল মায়ানগরীর অন্দরে। সূত্রের খবর, সোনু সুদের মতোই অনুপম খের, মাধুরী দীক্ষিত, নীলম কোঠারি এবং তার স্বামী সমীর সুরি, সুস্মিতা সেন, প্রীতি জিন্টা এমনকি নবাব ঘরনি কারিনা কাপুর খানও নাকি সময়ে-অসময়ে আশ্রয় নিয়েছেন সেখানকার বিখ্যাত জ্যোতিষী সোহিনী শাস্ত্রীর।

সবাই হাতেগরম ফলাফলও নাকি পেয়েছেন। সোনু মহিলা জ্যোতিষীর লেখা একটি বই উদ্বোধন করেন দিল্লিতে। সেখানেই প্রথম পরিচয়। অভিনেতা-সমাজকর্মী তাকেই প্রথম জানান, তিনি কর্মের পাশাপাশি ভাগ্যেও বিশ্বাসী। তার পরামর্শেই কি সোনুর সাম্প্রতিক উন্নতি? সে খবর জানা যায়নি। সোনুর মতোই জ্যোতিষে আস্থা অনুপম খেরেরও। তার কারণও আছে। অনুপমের দাদু একজন জ্যোতিষী ছিলেন। তাই তার কাছে জ্যোতিষচর্চা বা জ্যোতিষশাস্ত্র প্রাচীন বিজ্ঞান।

একই ভাবে নীলম আর তার স্বামী সমীর, মাধুরী, সুস্মিতা, প্রীতি-সহ অনেকেই সোহিনীর সান্নিধ্যে এসেছেন। তার সঙ্গে নিজেদের সুবিধে-অসুবিধে নিয়ে কথা বলেছেন। প্রয়োজনে পরামর্শও নিয়েছেন। যারা নিয়ম মেনেছেন তারা সুফল পেয়েছেন। ফলে, সেই নিয়ম তারা নাকি এখনও মেনে চলেন!