শিক্ষা অধিকার সংসদের আত্মপ্রকাশ, স্বাধীন কমিশন গঠনসহ সংস্কারের ১৪ দাবি

ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২২ অক্টোবর ২০২৪, ১০:২৯ পিএম

ছবি: ভোরের কাগজ
বৈষম্যহীন, যুগোপযোগী ও গতিশীল শিক্ষাব্যবস্থা বিনির্মাণে সংস্কারের ১৪ দফা দাবি জানিয়েছে শিক্ষা অধিকার সংসদ।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সংগঠনটির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে শিক্ষা সংস্কারের একগুচ্ছ সুপারিশ জানানো হয়।
এসময় সংগঠনটির আহ্বায়ক, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির প্রফেসরিয়াল ফেলো ও আন্তর্জাতিক শিক্ষা গবেষক অধ্যাপক ড. এম নিয়াজ আসাদুল্লাহ ১৪ দফা সংস্কারের প্রস্তাব করেন। এরমধ্যে রয়েছে স্থায়ী শিক্ষা কমিশন গঠন, শিক্ষাক্রম ও মূল্যায়ন আধুনিকায়ন, শিক্ষামান যাচাই ব্যবস্থার আন্তর্জাতিকীকরণ, এডুকেশন পারফরম্যান্স ডেলিভারি ইউনিট প্রতিষ্ঠা, পাঠদানের ব্যাঘাত প্রতিরোধে শিক্ষা রক্ষাকবচ চালু, নিরাপদ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষাঙ্গনের নিশ্চয়তা প্রদান।
এসময় প্রতিটি প্রস্তাবের পক্ষে বিস্তারিত বর্ণনা তুলে ধরেন সংগঠনের আহ্বায়ক। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সদস্য সচিব ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক মো. শাহনেওয়াজ খান চন্দন। নির্বাহী সদস্য মিসবাহুর রহমান আসিম, মাহফুজুর রহমান মানিক, ওমর ফারুক, রমিজুল ইসলাম রুমি ও মিনহাজুল আরেফিন।
বক্তব্য প্রদানকালে নিয়াজ আসাদুল্লাহ বলেন, শিক্ষা অধিকার সংসদ তরুণদের অন্তর্ভূক্ত করে শিক্ষা বঞ্চিতদের অধিকার নিশ্চিত করতে চায়। শিক্ষা অধিকার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে যেসব বৈষম্য রয়েছে, সেগুলো তুলে ধরে আমরা সরকারের সহযোগী হিসেবে ভূমিকা রাখতে চাই। অন্যদিকে শিক্ষার বাস্তব তথ্যভিত্তিক গবেষণাও আমাদের অগ্রাধিকারের মধ্যে রয়েছে। তবে তরুণরাই আমাদের অগ্রাধিকার তাদের নিয়ে আমরা এগিয়ে যেতে চাই।
এসময় মো. শাহনেওয়াজ খান চন্দন বলেন, আমরা আশা করেছিলাম জুলাই বিপ্লবের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নতুন বাংলাদেশের সরকার শিক্ষার মৌলিক কিছু সংস্কার করবেন। কিন্তু আমরা আসলে সেরকম উদ্যোগ দেখছি না। সে প্রেক্ষিতেই আমরা কিছু সংস্কার প্রস্তাবনা নিয়ে কাজ করছি। নতুন বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট মাথা রেখে শিক্ষার প্রত্যেকটি দিক- কারিকুলাম, প্রাথমিক শিক্ষা, মাধ্যমিক শিক্ষা, কারিগরি শিক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা এবং মাদরাসা শিক্ষা নিয়ে আমরা সংস্কার প্রস্তাব করবো।
সংগঠনটির অন্য দাবির মধ্যে রয়েছে, শিক্ষায় সামাজিক সুরক্ষা, শিক্ষক ও শিক্ষা প্রশাসনকে বিরাজনীতিকরণ, শিক্ষকদের পুনপ্রশিক্ষণ ও দক্ষতা বৃদ্ধি, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিয়ন্ত্রিত প্রসার সংকোচন ও মানের পুনর্মূল্যায়ন, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় মৌলিক সংস্কার সাধন, শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব, ক্ষমতায়ন ও কার্যকর ছাত্র-সংসদ এবং উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের পেশাগত উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।