অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেবে সরকার: বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক

ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৪১ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
দেশে চলমান অসহিষ্ণুতা ও নৈরাজ্যবাদী ঘটনায় সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক। শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই আহ্বান জানানো হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. গীতি আরা নাসরিন শিক্ষক নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টার লিখিত চিঠি পাঠান। তিনি জানান, চিঠিটি স্বরাষ্ট্র, শিক্ষা, আইন, ধর্ম ও প্রতিরক্ষা উপদেষ্টার কাছে অনুলিপি হিসেবে পাঠানো হবে।
লিখিত চিঠিতে ড. গীতি আরা বলেন, অভ্যুত্থানের পরবর্তী সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে অসহিষ্ণুতা, আক্রমণাত্মক এবং নৈরাজ্যবাদী জমায়েত লক্ষ করা যাচ্ছে। এসব জমায়েত থেকে হিংসাত্মক বক্তব্য এবং হামলার ঘটনা ঘটছে। তিনি রাস্তায় ও পর্যটন অঞ্চলে নারীদের ওপর হামলা, নিগৃহীত শ্রমিকদের বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
শিক্ষক নেটওয়ার্কের নেতৃবৃন্দ সরকারের কাছে আক্রমণাত্মক গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান। তারা বলেন, নাগরিকদের নিরাপত্তাবোধের অভাব সৃষ্টি হলে সংকট উত্তরণে সরকারকে আরো বেগ পেতে হবে।
অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রুশাদ ফরিদী বলেন, একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের নমুনা দেখতে পাচ্ছি না। উনার (সামিনা লুৎফা) বাবা-মা চাকরি করতেন, কিন্তু নানা ধরনের হুমকির কারণে তিনি সেখানে যেতে পারেননি।
এছাড়া, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের অধীনে প্রণীত পুস্তক সংস্কারে ১০ সদস্যের একটি কমিটিতে শিক্ষক নেটওয়ার্কের ড. সামিনা লৎফা ও অধ্যাপক কামরুল ইসলাম মামুন রয়েছেন। এ ব্যাপারে রুশাদ ফরিদী মন্তব্য করেন, ওনাদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যেতে পারে, কিন্তু ধর্মবিদ্বেষী ট্যাগ দিয়ে বাদ দিতে চাওয়া সমাজে অস্থিরতা তৈরি করবে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাইদ ফেরদৌস বলেন, জাতির উপর থেকে এত বড় জগদ্দল পাথর সরানোর পরেও অসহিষ্ণুতা ছড়িয়ে পড়লে সমাজে অস্থিরতা ও সংঘাত সৃষ্টি হবে। সরকারের উচিত কাজ করতে দেয়া।
আরো পড়ুন: সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম কারাগারে
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন, ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক তাসনীম সিরাজ মাহবুব, গণযোগাযোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজলী শেহরীন ইসলাম ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নাছির আহমেদ।