আজ নতুন কর্মসূচি দিতে পারেন কোটা আন্দোলনকারীরা

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৪, ১১:৪২ এএম

ছবি: ভোরের কাগজ
চার দফা দাবি জানিয়ে সরকারকে দুই দিনের আলটিমেটাম দিয়েছিল কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। সেই আলটিমেটামের সময়সীমা শেষ হবে আজ। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) তাদের দাবি পূরণ না হলে নতুন কর্মসূচি দিতে পারেন তারা।
বুধবার রাতে ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস ইসলাম জানান, সারাদেশে অবিলম্বে ইন্টারনেট চালু করা, কারফিউ প্রত্যাহার, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সরিয়ে নিয়ে হল খুলে দেয়া এবং আন্দোলনের সমন্বয়কদের নিরাপত্তা প্রদান– এই চার দফা দাবিতে আমরা সরকারকে দুই দিনের আলটিমেটাম দিয়েছিলাম।
বৃহস্পতিবার সেই আলটিমেটামের সময় শেষ হবে। এ দিন নতুন কর্মসূচি কী হতে পারে– তা নিয়ে দুপুরে আমরা বসব। এরপর বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাব কিংবা ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আমরা পরবর্তী কর্মসূচি জানাব।
সমন্বয়কারী হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই ছাত্রলীগ, যুবলীগ ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যারা ছাত্রদের হত্যা করেছে তাদের বিচারের আওতায় আনার জন্য। আমাদের আন্দোলন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি থেকে শুরু হয়েছিল এবং সেখানেই আমাদের আন্দোলন শেষ করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ আমরা।
উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলনের কর্মসূচি ঘিরে সহিংসতা শুরু হয় গত ১৫ জুলাই। ১৬ জুলাই ছয়জনের প্রাণহানিসহ ১৮ জুলাই থেকে ২১ জুলাই পাঁচ দিনে আন্দোলনের মধ্যে সংঘর্ষ, গুলি ও সংঘাতে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে দেড় শতাধিক মানুষের প্রাণ যায়।
গত বৃহস্পতিবার থেকে পরের দুই দিনে সেতু ভবন, বিআরটিএ ভবন, দুর্যোগ ভবন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মিরপুর ইনডোর স্টেডিয়াম, মেট্রোরেলের দুটি স্টেশন, বিটিভি, হানিফ ফ্লাইওভারের টোল প্লাজা, মেট্রোরেলের কাজীপাড়া ও মিরপুর স্টেশন, এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ের মহাখালী অংশ, ফায়ার সার্ভিস স্টেশন, পুলিশ স্টেশন, বনশ্রী পিবিআই অফিস, উত্তর সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ি, উত্তরা ও মোহাম্মদপুর কমিউনিটি, মহাখালীন ডিএনসিসি হাসপাতাল, নরসিংদী কারাগারসহ বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ করা হয়।
এ অবস্থায় শুক্রবার মধ্যরাত থেকে কারফিউ জারি করে সরকার। সেইসঙ্গে মোতায়েন করা হয় সেনাবাহিনী।