সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা, ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৪, ০৫:৫৪ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্ত করে ঘোষিত প্রত্যয় স্কিম বাতিল না হওয়ায় সোমবার (১ জুলাই) থেকে একযোগে ৩৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন। কার্যত তা যদি হয় তাহলে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত ক্লাসসহ পরীক্ষা বন্ধ থাকবে।
রবিবার (৩০ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কলাভবন ফটকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুল ইসলাম, ঢাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. মিজানুর রহমান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মোতাহের হোসেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মমিন উদ্দিনসহ সমিতির সদস্যরা।
লিখিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া বলেন, পেনশন সংক্রান্ত ‘বৈষম্যমূলক’ প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনের দাবিতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন তিন মাসেরও অধিক সময় ধরে বিভিন্ন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করে আসছে। ১৩ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকে বিবৃতি প্রদান, গণস্বাক্ষর সংগ্রহ, মানববন্ধন, প্রতীকী কর্মবিরতি, স্মারকলিপি প্রদান এবং অবস্থান কর্মসূচির মতো শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়।
তিনি বলেন, এ সময়ে সরকারের তরফ থেকে কোনো ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় গত ২৫, ২৬ ও ২৭ জুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালিত হয় এবং রবিবার পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালিত হচ্ছে।
নিজামুল হক ভূঁইয়া আরো বলেন, আমরা আশা করি সরকার অনতিবিলম্বে এই যৌক্তিক দাবি মেনে নেবে, যাতে আমরা ক্লাসে ফিরে যেতে পারি। অন্যথায় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ১ জুলাই থেকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সারা দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালিত হবে।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক আখতারুল ইসলাম বলেন, আমরা দীর্ঘদিন থেকে আন্দোলন করছি। এতদিনেও কেন আমাদের আলোচনার জন্য ডাকা হয়নি। আমাদের যে প্রত্যয় স্কিম অফার করা হয়েছে, তা চরম অপরিপক্ব হাতের কাজ। তারা জাতির সঙ্গে প্রতারণা করছে।
তিনি বলেন, যারা প্রত্যয় স্কিমের প্রবর্তক, তাদের শিক্ষকদের সামনে নিয়ে আসা হোক। আমরা আমাদের যুক্তি দেব। তারা তাদের যুক্তি দেবে। দেশে এত দুর্নীতি হয়েছে, সেসব কি শিক্ষকরা করেছেন? তাহলে কেন আমাদের সুবিধা বাতিল করা হলো?
ফেডারেশনের সভাপতি আরো বলেন, আমরা নিজেদের জন্য এই আন্দোলন করছি না। বরং আগামী প্রজন্মের জন্য এবং আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার জন্য এই আন্দোলন করছি।