নোবিপ্রবিতে খাবারের দামে চরম অসন্তোষ; শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

নোবিপ্রবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৪, ০৫:১২ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) ক্যাম্পাসের খাবারের অতিরিক্ত মূল্য নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাফেটেরিয়া, ভিস্তা ক্যাফে এবং হলের ডাইনিং শিক্ষার্থীদের অসন্তোষের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। খাবারের অতিরিক্ত দাম ও নিম্নমান এ অসন্তোষের মূল কারণ বলে জানা গেছে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ক্যাম্পাসের শান্তি নিকেতন, ক্যাফেটেরিয়ায় একক দোকান হওয়ায় একচেটিয়া ব্যবসা করার সুযোগে এই সমস্যা আরো বেড়েই চলেছে। এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক দাম নির্ধারণ করে দেয়া হলেও কোথাও মানা হচ্ছে না নির্ধারিত মূল্য তালিকা।
সরেজমিনে শান্তি নিকেতনের ভিস্তা ক্যাফেতে গিয়ে দেখা যায়, মুরগী আর ভাতের দাম ৭০ টাকা, তেলাপিয়া মাছ ভাজা, বেগুন ভাজা আর ভাত ৮৫ টাকা, সবজি ভাত এবং ডিম ভাত ৪৫ টাকা। একই চিত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়াতেও। মাছ-ভাত ৭০ টাকা, মুরগী-ভাত ৬৫ টাকা, সবজি ভাত ৫০ টাকা, ভর্তা ভাতের প্যাকেট ৫৫ টাকা। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পকেট গেট সংলগ্ন টং দোকানগুলোতেও একই দাম।
আরো পড়ুন: একাদশে ভর্তিতে যোগ্যতা প্রকাশ
প্রাণীবিদ্যা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ঊষান বলেন, আমি চতুর্থ বর্ষের একজন শিক্ষার্থী। সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বেশিরভাগই মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে ওঠে আসা। পরিবার থেকে খুব বেশি আর্থিক সাপোর্ট পাওয়া যায় না, তাই বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই অল্প টাকায় মাস শেষ করার তাগিদ অনুভব করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি আবাসিক হলের ডাইনিং বন্ধ রয়েছে। এমতাবস্থায় অভ্যন্তরীণ দোকান, বাইরের টং দোকান বা হোটেলগুলোতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চড়া দামে নিম্নমানের খাবার খেয়ে বেঁচে থাকতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত অতিদ্রুত আবাসিক হল গুলোতে ডাইনিং ব্যবস্থা চালু করে সুলভ মূল্যে পুষ্টিমান সম্পন্ন খাবার পরিবেশনা করা ও পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের টং দোকান বা হোটেলগুলোকে নিয়মিত মনিটরিং এর আওতায় আনা যাতে খাবারের মান ও দাম ঠিক থাকে।
ব্যবসা প্রশাসন বিভাগের এমবিএর এক শিক্ষার্থী বলেন, খাবারের কোয়ালিটির সঙ্গে দামের মিল নাই। যেভাবে তারা দাম রাখে খাবার টাও যদি কোয়ালিটি সম্পন্ন হইতো তাহলে শিক্ষার্থীরা খাবার খেয়ে তৃপ্তি পাইতো। প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ খাবারের মানের ব্যাপারটা যেনো তারা তদারকি করে।
প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মাসুদ হোসাইন জানান, খাবারের দামের সঙ্গে মানের কোনো সামঞ্জস্য নাই। বেশি টাকা দিয়ে কিনে খাওয়া লাগে তবুও ম্যাক্সিমাম সময় খাবার থাকে বাসি-পচা। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা তো আরো নাই।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ার ম্যানেজার বলেন, দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি, কর্মচারী বেতন সবকিছু মিলিয়ে খাবারের দাম নির্ধারণ করা হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান রিমন বলেন, নির্ধারিত মূল্যের বাইরে খাবারের দাম রাখার সুযোগ নেই। আমরা মনিটরিং করে বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।