জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) নারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার বক্তব্য সম্পাদনা (এডিট) করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।
সোমবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল ১১টা ৫৯ মিনিটে জাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের কাছে মুঠোফোনে দুঃখ প্রকাশ করে তিনি ক্ষমা চান।
জাবির জনসংযোগ কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার বেলা ১১ টা ৫৯ মিনিটে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের কাছে ফোন করেন শাবিপ্রবি উপাচার্য। এ সময় আন্তরিকভাবে দু:খ প্রকাশ করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন তিনি।
ফোনে শাবিপ্রবি উপাচার্য দাবি করেন, তার বক্তব্য সম্পাদনা (এডিট) করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। এতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। একই সঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং সংশ্লিষ্ট সকলেই আহত হয়েছেন। তিনি এ বিষয়টি অনুধাবন করছেন।
তিনি আশা প্রকাশ করছেন যে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উদার ও প্রগতিশীল শিক্ষার্থী ও শিক্ষকগণ তাকে ক্ষমা করে দেবেন।
এ বিষয়ে আন্দোলনরত ছাত্রী তপস্বী দে প্রাপ্তি জানান, আমাদের দাবি ছিল উনি প্রকাশ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চাইবেন। উনি শিক্ষকদের কাছে ফোন করে ক্ষমা চেয়েছেন। আবার উনি বক্তব্যকে এডিট করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন। আমরা শাবিপ্রবি উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করেছি। তাই উনি পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আমরা শাবিপ্রবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পাশে আছি।
এখন কি আপনারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আন্দোলন থেকে সরে আসিনি। আমরা সবাই বসে নতুন কর্মসূচির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।
যা বলেছেন শাবি ভিসি :
শাবি ভিসির অডিও ফাঁস, জাবি ছাত্রীদের নিয়ে কটূক্তি