এলসি মার্জিন প্রত্যাহার ও পুনঃঅর্থায়ন তহবিলের উদ্যোগে শিল্প-বিনিয়োগে গতি আসবে: ডিসিসিআই

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:১৪ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আশা প্রকাশ করেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তে দেশের শিল্পায়ন এবং বিনিয়োগে গতি আসবে। বাংলাদেশে উৎপাদিত কিছু পণ্য এবং বিলাসবহুল সামগ্রী ছাড়া সব ধরনের আমদানিতে এলসি মার্জিন প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফলে আমদানিতে যে স্থবিরতা সৃষ্টি হয়েছিল, তা অনেকাংশে নিরসন হবে এবং শিল্প খাতে নতুন উদ্যম আসবে।
ডিসিসিআই সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, এলসি মার্জিনের প্রত্যাহারের ফলে মূলধনী যন্ত্রপাতি, ভোক্তা পণ্য, এবং কাঁচামালের আমদানি সহজ হবে, যা বিনিয়োগ, পুনঃবিনিয়োগ এবং সামগ্রিক উৎপাদন বৃদ্ধিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এতে রপ্তানিতেও ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি দেখা যাবে এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
একই সঙ্গে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উদ্যোগে গঠিত ‘আবর্তনশীল পুনঃঅর্থায়ন তহবিল’ সিএমএসএমই (কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি) খাতে বিনিয়োগ এবং অর্থায়নে বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে বিশ্বাস করে ডিসিসিআই । এই তহবিল সিএমএসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য ঋণ প্রাপ্তি সহজ করবে এবং তাদের আর্থিক সংকট কাটিয়ে ওঠার সুযোগ দেবে।
এই তহবিলের আওতায় সিএমএসএমইদের জন্য ঋণের সুদহার সর্বোচ্চ ৮ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে এবং কোনো সুপারভিশন চার্জ বা আগাম ঋণ পরিশোধ ফি আরোপ করা হবে না। এটি সিএমএসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য স্বস্তিদায়ক হবে। ডিসিসিআই আশা করে, এই উদ্যোগ দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পখাতের বিকাশ এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
আরো পড়ুন: ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ১৫ হাজার, ৯২ জনের মৃত্যু
ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, সিএমএসএমই খাত দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি, এবং এই খাতের উন্নয়নে সহায়ক পদক্ষেপ দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।