বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও চড়া সবজির দাম

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৩৭ পিএম

দাম বাড়ার কারণ হিসেবে বাজার সিন্ডিকেটকেই দায়ী করছেন ক্রেতারা। ছবি : সংগৃহীত
রাজধানীর কাঁচাবাজারে বিভিন্ন রকমের সবজির দেখা মিললে চড়া দামের কারণে কিনতে হিমসিম খাচ্ছেন সাধারণত মানুষ। শিম, ফুলকপি, পাতাকপি, মুলার পাশাপাশি বেগুন, পটল, ঢেঁড়স, ঝিঙা ও করলার পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে বাজারে। কিন্তু দাম আগের মতোই বেশ চড়া। ফলে স্বস্তি মিলছে না ক্রেতাদের। তবে, গত কয়েক মাস ধরে সবজির দাম বাড়তি থাকলেও সপ্তাহ ধরে কিছুটা কম দামে বিক্রি হচ্ছে বলে দাবি বিক্রেতাদের। কয়েকটি সবজির বর্তমানে মৌসুম না হওয়ায় সেগুলোর দাম কিছুটা বাড়তি যাচ্ছে।
শুক্রবার (৬ আগস্ট) রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত, যা গত সপ্তাহের বাজারে তেমন দেখা মিলেনি। শিমের পাশাপাশি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে শীতের অন্যতম সবজি পাতা ও ফুলকপি। ছোট আকারের ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা পিস, যা গত সপ্তাহে ছিল ৬০ টাকা। আজকের বাজারে পাতাকপি বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিস ৬০ টাকা। তবে তুলনামূলক দাম কমার তালিকায় আছে মুলা। শীতের আগাম এ সবজিটির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫০-৬০ টাকা।
আরো পড়ুন : আলুতে কমেছে শুল্ক, পেঁয়াজে প্রত্যাহার
কয়েক মাস ধরে চড়া দামে বিক্রি হওয়া পাকা টমেটো ও গাজরের দাম এখনো চড়াই রয়েছে। পাকা টমেটো আগের সপ্তাহের মতো প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকা কেজি। গাজর বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা কেজি। এদিকে শিমসহ নতুন কিছু সবজি আসায় কিছুটা কম দামে বিক্রি হচ্ছে করলা, ঝিঙে, বরবটি, বেগুন, পটল, ঢেঁড়স, ধুন্দলসহ সব ধরনের সবজি। করলা বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজি। একই দামে বিক্রি হচ্ছে বরবটি। বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা কেজি। চিচিঙ্গা, ঝিঙে, ধুন্দলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৭০ টাকার মধ্যে। এ সবজিগুলোর দাম সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে। গত সপ্তাহের মতো ছোট আকারের লাউ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা পিস। এদিকে বাজারে সবচেয়ে কমদামি সবজি হিসেবে ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে পেঁপে।
দাম বাড়ার কারণ হিসেবে বাজার সিন্ডিকেটকেই দায়ী করছেন ক্রেতারা।