এসএমই উদ্যোক্তাদের ৫ সেবা দিতে সমঝোতা

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৮:৪৮ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের দক্ষতা উন্নয়ন, অর্থায়ন, বাজার সংযোগ- বাজারজাতকরণ, নতুন উদ্যোক্তাদের পুঁজি সহায়তা ও ব্যবসা সহায়ক পরিবেশ তৈরিতে নীতি সহায়তা দিতে একসঙ্গে কাজ করবে এসএমই ফাউন্ডেশন এবং অক্সফাম বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) এসএমই ফাউন্ডেশনের সম্মেলন কক্ষে এ বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান। ফাউন্ডেশনের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী এবং অক্সফাম বাংলাদেশের পক্ষে কান্ট্রি ডিরেক্টর আশিষ দামলে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন।
সমঝোতা স্মারক অনুসারে, দেশের ক্ষুদ্র-মাঝারি উদ্যোক্তাদের ব্যবসায় ও আর্থিক ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা উন্নয়ন, ঋণ পেতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি, ট্রেড লাইসেন্স, কোম্পানি নিবন্ধন, ভ্যাট নিবন্ধন, করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর সংগ্রহের তথ্যসহ বিভিন্ন ব্যবসা সহায়ক সেবা দেয়া হবে। পাশাপাশি উদ্যোক্তাদের ব্যবসা শুরু ও সম্প্রসারণে বিভিন্ন বাধা দূর করতে সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোর সঙ্গে সংলাপ এবং নীতি সহায়তা দেয়া হবে।
এছাড়া বাংলাদেশের এসএমই উদ্যোক্তাদের উন্নয়ন বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহযোগীদের কাছ থেকে তহবিল সংগ্রহের লক্ষ্যে একসঙ্গে কাজ করবে এসএমই ফাউন্ডেশন এবং অক্সফাম বাংলাদেশ।
উল্লেখ্য, বর্তমানে দেশের অর্থনীতিতে এসএমই খাতের অবদান ৩২ শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো’র (বিবিএস) সবশেষ অর্থনৈতিক সমীক্ষা বলছে, দেশে ৭৮ লাখের বেশি কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি (সিএমএসএমই) শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে। মোট শিল্প প্রতিষ্ঠানের যা ৯৯ শতাংশের বেশি। শিল্প খাতের মোট কর্মসংস্থানের প্রায় ৮৫ শতাংশ এসএমই খাতে।
এই খাতে ২ কোটির বেশি জনবল প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কর্মরত আছেন। অধিক জনসংখ্যা, সীমিত সম্পদের দেশ হিসেবে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এসএমই খাত গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখছে। এমএসএমই একটি শ্রমনিবিড় ও স্বল্প পুঁজিনির্ভর খাত। উৎপাদন সময়কাল স্বল্প হওয়ায় জাতীয় আয় বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এমএসএমই অবদান অনেক।
অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের মতো বাংলাদেশেও সিএমএসএমই খাতের বিকাশ ও উন্নয়নের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। বস্তুত বাংলাদেশকে শিল্পভিত্তিক অর্থনীতির দেশে পরিণত করার ক্ষেত্রে এসএমই ফাউন্ডেশন অনুঘটকের ভূমিকা রাখছে। দেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও পরিবেশগত সুরক্ষার মাধ্যমে এসএমই খাতের উন্নয়নের লক্ষ্যে ফাউন্ডেশন সরকারের জাতীয় শিল্পনীতি ২০২২ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা, নির্বাচনা ইশতেহার ২০২৪, এসডিজি ২০৩০ এবং রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংস্থা এসএমই ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন কর্মসূচির সুবিধাভোগী প্রায় ২০ লাখ ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা।