বিউটি ইন্ডাস্ট্রিতে লুকিয়ে আছে অপার সম্ভাবনা

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৩ মে ২০২৪, ০৪:৫৭ পিএম

ছবি: ভোরের কাগজ
কেউ হেয়ার কাট শিখছেন, কেউবা এডভান্স মেকআপ সবার লক্ষ একটাই দক্ষতা অর্জন করা। একটা সময় ছিল যখন বিউটি ইন্ডাস্ট্রি কথাটির সঙ্গে কেউই পরিচিত ছিল না। বিউটি প্রফেশন বলতে সাধারণ মানুষ ভাবতো পার্লারে কাজ করার কথা। বিউটি প্রফেশন এই শব্দটি শুনতেই সবার মনে হতো এটি আপাদমস্তক নারীদের বিষয়বস্তু। সময়টা পাল্টে গেছে বদলে গেছে গতানুগতিক বিউটি ইন্ডাস্ট্রির সংজ্ঞা। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বিউটি ইন্ডাস্ট্রির পরিধি ও সম্ভাবনা। বর্তমানে হেয়ার কাটিং, শেভিং, হেয়ার কালারিং, রিবন্ডিং, অ্যাডভান্স মেকআপসহ ১১ কোর্সে হাতে-কলমে প্রতি মাসে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী প্রশিক্ষণ গ্রহন করছেন। লুক ইন্সটটিউটের শিক্ষার্থীরাও বলছেন এমন একটি স্কিল শিখে বিদেশ গেলে অন্যদের তুলনায় বেশি আয় করার সুযোগ পাবেন।
এই সময়টাকেই হয়তো দূর থেকে আঁচ করতে পেরেছিলেন জনাব আসগর মিরন। এজন্যই ২০১৬ সালে দেশের প্রথম বিউটি প্রফেশনাল ওয়ার্কশপের মাধ্যমে শুরু করেন লুক ইনস্টিটিউট। এই পর্যন্ত ১২২৩ জন শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক জনাব আসগর মিরন।
“আমি অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশুনার উদ্দেশ্য যাওয়ার জন্য প্রসেসিং শুরু করি, আর তখনি ভাবতে থাকি বিদেশ গিয়ে কিভাবে পড়াশুনার পাশাপাশি বেশি আয় করা যায়। একটু জানাশুনার পর বুঝলাম উন্নত দেশে বিউটি প্রফেশনে যথেষ্ট ভালো আয় করা সম্ভব। প্রথমদিকে সংশয় কাজ করলেও লুক ইনস্টিটিউটে ভর্তি হওয়ার পর সত্যিই মনে হয়েছে সিদ্ধান্ত নেয়াটা ভুল কিছু ছিল না” বলছিলেন মোহাম্মদপুর নিবাসী আসিফ ইকবাল।
আরো পড়ুন: চলতি মাসে গেটওয়ের টাকা ফেরত দিতে শুরু করবে ইভ্যালি
এখানকার প্রশিক্ষকরা বলছেন তারা প্রশিক্ষণার্থীদেরকে ইউরোপীয় স্ট্যান্ডার্ড বজায় রেখে শিক্ষা দিয়ে থাকেন। আমরা চেষ্টা করি আমাদের শিক্ষার্থীদেরকে সবসময় দেশের সবচেয়ে সেরা এবং মাইগ্রেশনের উপযোগী করে শিক্ষা প্রদান করতে। যেনো তারা আমাদের ইন্সিটিউট থেকে শিখে বিশ্বের যেকোনো দেশে কাজ করতে পারেন।
শুধু একটি কোর্স করলেই কি হয়? কোনো কাজে দক্ষ হতে গেলে তো প্র্যাকটিসের প্রয়োজন। আশার কথা হলো, লুক ইনস্টিটিউটে কোর্স করার পর আনলিমিটেড প্র্যাকটিসের সুযোগ রয়েছে এবং কোর্স শেষ করার পরও শিক্ষার্থীরা ক্যারিয়ার গাইডেন্স পেয়ে থাকেন। যা দেশ থেকে দক্ষ বিউটি প্রফেশনাল সৃষ্টি করায় বিশেষ জরুরী। স্বাভাবিকভাবেই আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানিসহ ইউরোপের অন্যান্য দেশে দক্ষ শ্রমিকের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। প্রতিযোগিতামূলক এই শ্রমবাজারে বিউটি ইন্ডাস্ট্রি, বাংলাদেশের জন্য খুলে দিতে পারে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার।
সেই সঙ্গে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে উদ্যোক্তা হওয়ার প্রবণতা পূর্বের থেকে বেড়েছে কয়েকগুণ। উদ্যোক্তা হওয়ার ক্ষেত্রে সবাই তেমন পেশাই বেছে নিতে চায় যার একটি চলমান চাহিদা রয়েছে। এই দৃষ্টিকোণ থেকে বাংলাদেশের বিউটি ইন্ডাস্ট্রিতে লুকিয়ে আছে অপার সম্ভাবনা। বাংলাদেশের জনসাধারণের মধ্যে সৌন্দর্য চর্চার সচেতনতা আগামীতে আরো বৃদ্ধি পাবে, এতে বলাই যায় এই বাজার এখনো অনাবিষ্কৃত রয়েছে।
আরো পড়ুন: রিহ্যাব নির্বাচনে ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের নিরঙ্কুশ জয়
এমনই কিছু চিন্তাভাবনা থেকে লুক ইনস্টিটিউট আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন প্রফেশনাল বিউটি ট্রেনিং করিয়ে আসছে যা অত্যন্ত গুরুত্ব ও দায়িত্বের সঙ্গে দক্ষ প্রশিক্ষকেরা হাতে ধরে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে এক এক করে শিখিয়ে থাকেন। তবে শুধু প্রশিক্ষণ ও প্র্যাকটিসেই সীমিত নয়, লুক ইনস্টিটিউট ব্যবসা পরিচালনার জন্য সঠিক দিক নির্দেশনা ও কনসালটেন্সির ব্যবস্থাও করছে।
“আমাদের এখানে কমপ্লিট কোর্সের মধ্যে অ্যাডভান্স ও বেশি কোর্সগুলো সাধারণত এক থেকে দুই মাসের মধ্যেই শেষ হয়ে যায় অন্যদিকে কেউ চাইলেই প্যাকেজ করছো করতে পারে যেখানে একাধিক কোর্স করা যায়। তবে মূলত আমাদের কোর্সের বিশেষত্বের কারণেই প্রশিক্ষণ নিতে আসেন অনেকেই আর তা হল এই কোর্সগুলো নারী-পুরুষ নির্বিশেষে যে কেউই করতে পারে। বিদেশে কাজের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন দক্ষ প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন। যে কারণে আমরা বিদেশে মাইগ্রেশনের উপযোগী সিলেবাস ধরে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি। এছাড়ও নিজের সুবিধামতো ক্লাস ও আনলিমিটেড প্র্যাকটিসের সুযোগ তো আছেই” বলছিলেন আসগর মিরন, লুক ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা।
মোহাম্মদপুরের রিং রোডে অবস্থিত লুক ইন্সটিটিউটে প্রশিক্ষণ নিতে চাইলে যোগাযোগ করুন +৮৮০১৮১৭৭৫২২৪০ এই নম্বরে।