দেশে বিনিয়োগ সমস্যা সমাধানে সরকারের সহায়তা চান কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত

চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশ: ১৬ মে ২০২৪, ১১:৩৬ পিএম

ছবি: ভোরের কাগজ
কাঁচামাল আমদানির উপর উচ্চ ট্যারিফ, ভিসা জটিলতা এবং কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স বিলম্বজনিত সমস্যা বাংলাদেশে কোরিয়ান কোম্পানিগুলোর বিনিয়োগের ক্ষেত্রে একটি বড় প্রতিবন্ধকতা বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক। বিনিয়োগের এসব বাধাসমূহ সুরাহার জন্য সরকারের সহায়তা কামনা করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) চিটাগাং চেম্বার অব কমার্সের পরিচালকমন্ডলীর সঙ্গে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
চট্টগ্রাম নগরীর ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ চেম্বার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় কোরিয়ান রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক বলেন, কোরিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে রয়েছে দীর্ঘদিনের কৌশলগত সম্পর্ক। কোরিয়ার ৫ম বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার হচ্ছে বাংলাদেশ। এখানকার ম্যানুফ্যাকচারার, অটোমোবাইল, মোবাইল ও হোম ইলেক্ট্রনিক্স খাতে বিনিয়োগ রয়েছে কোরিয়ান কোম্পানির। এছাড়াও বাংলাদেশের বড় বড় প্রকল্পে দক্ষতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে কোরিয়ান কোম্পানিগুলো।
তিনি বলেন, ২০২৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উত্তরণ করবে। তাই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে হলে গুণগত অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রয়োজন। ম্যানুফ্যাকচারিং খাতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বৈচিত্রতা আনতে হবে। বর্তমানে বাংলাদেশের কোরিয়ান কোম্পানিগুলোর বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কাঁচামাল আমদানির উপর উচ্চ ট্যারিফ, ভিসা জটিলতা এবং কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স বিলম্বজনিত সমস্যা একটি বড় প্রতিবন্ধকতা। বিনিয়োগের এসব বাধাসমূহ সুরাহার জন্য সরকারের সহায়তা কামনা করেন।
চেম্বার সভাপতি ওমর হাজ্জাজ বলেন, বাংলাদেশের সাথে দক্ষিণ কোরিয়ার ভৌগোলিক দূরত্ব সত্ত্বেও দু’দেশের মধ্যে দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত আজকের এই অবস্থানের পেছনে রয়েছে কোরিয়ার অবদান। কারিগরি শিক্ষার উন্নয়নেও রয়েছে কোরিয়ার অবদান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের ৮০ শতাংশ হচ্ছে কোরিয়ার বিনিয়োগ। তিনি বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সুবিধা কাজে লাগিয়ে লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্লু ইকোনমি, শিপ বিল্ডিং ও শিপিং খাতে কোরিয়ান বিনিয়োগের আহবান জানান। আধুনিক এগ্রো প্রসেসিং সেক্টরেও প্রযুক্তি ও বিনিয়োগ প্রত্যাশা করেন তিনি।
চেম্বার সহ-সভাপতি রাইসা মাহবুব বলেন, বাংলাদেশে কোরিয়ান কসমেটিক্স, প্রসাধন ও ফুটওয়্যারের কদর রয়েছে। তাই বাংলাদেশের বাজার এবং চাহিদা মাথায় রেখে বাংলাদেশের কোরিয়ান ব্যবসায়ীদের একক বা যৌথ বিনিয়োগের আহবান জানান তিনি। মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন চেম্বার পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ, মাহফুজুল হক শাহ, আখতার উদ্দিন মাহমুদ ও দূতাবাসের কনসুল কিম জেয়ং কি, চট্টগ্রামে কোরিয়ান এসোসিয়েশন’র প্রেসিডেন্ট জিন হুক পিক, কোরিয়ান প্রতিষ্ঠান তাইয়ং এর প্রতিনিধিবৃন্দ।