- ২০০৮ সালে বিএনপি আমলে ছিল ৩ হাজার ২৬৮ মেগাওয়াট
দেশে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৭ হাজার ৩৬১ মেগাওয়াট এবং চলতি বছর ১৯ এপ্রিল সর্বোচ্চ উৎপাদিত হয়েছে ১৫ হাজার ৬৪৮ মেগাওয়াট বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী এসব তথ্য জানান। এসময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। এ দিনের প্রশ্ন উত্তর টেবিলে উস্থাপিত হয়।
বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশে ক্যাপটিভ এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি সহ মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৭ হাজার ৩৬১ মেগাওয়াট। এ পর্যন্ত চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছে ১৫ হাজার ৬৪৮ মেগাওয়াট। ২০০৮ সালে সরকার দায়িত্ব গ্রহণের সময় বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ৪ হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট ও প্রকৃত উৎপাদন ছিল ৩ হাজার ২৬৮ মেগাওয়াট। সরকার বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে তাৎক্ষণিক, স্বপ্ন, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে নিবিড় তদারকির মাধ্যমে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন মহাপরিকল্পনার আওতায় উৎপাদন ক্ষমতা ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করার কার্যক্রম নিবিড় তদারকির মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর জন্য উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
পদক্ষেপগুলো হলো-বিদ্যুৎ খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার খাত হিসেবে নেয়া, বিদ্যুৎ উৎপাদনে তাৎক্ষণিক, স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন; বিদ্যুৎ আইন ২০১৮ প্রণয়ন; দ্রুততার সাথে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের লক্ষ্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ প্রণয়ন; বিদ্যুৎ উৎপাদনে জ্বালানি বহুমুখীকরণ; বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রাথমিক জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিতকরা; বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বিদ্যুৎ খাতে প্রয়োজনীয় অর্থায়ন নিশ্চিতকরা , বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে শতভাগ অগ্রগতি নিশ্চিতকরা; বিদ্যুৎ প্রকল্পে নিউ এণ্ড ইনোভেটিভ ফিনাসিং সহ বিভিন্ন বিকল্প অর্থায়ন ব্যবহার, উৎপাদিত বিদ্যুৎ সুষ্ঠুভাবে সঞ্চালন ও বিতরণের জন্য প্রয়োজনীয় সঞ্চালন ও বিতরণ প্রকল্প নেয়া, অফগ্রিড এলাকা বিদ্যুতায়নে সোলার হোম সিস্টেম ও সোলার মিনিগ্রিড কার্যক্রম বাস্তবায়ন; নিবিড় তদারকির মাধ্যমে বিদ্যুৎ প্রকল্পসমূহ যথাসময়ে বাস্তবায়ন; এবং প্রকল্প বাস্তবায়নের সমস্যাগুলো দ্রুত চিহ্নিত করে তার সমাধান করা।