৭৮১ কোটি টাকার অবৈধ’ সম্পদ: নাসার নজরুলের বিরুদ্ধে মামলা

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:২৫ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
‘জ্ঞাত আয়বহির্ভূত’ ৭৮১ কোটি ৩১ লাখ ২২ হাজার ৪৫৪ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে নাসা গ্রুপের কর্ণধার নজরুল ইসলাম মজুমদারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
নজরুল ইসলাম মজুমদার এক্সিম ব্যাংক ও ব্যাংক মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) সাবেক চেয়ারম্যান। আক্তার হোসেন বলেন, দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি দায়ের করেন সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ। মামলায় নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫ (২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। পরে ২ অক্টোবর নজরুল ইসলাম মজুমদারকে রাজধানীর গুলশানে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। গত ২৯ অগাস্ট ব্যাংক খাতে পরিবর্তনের অংশ হিসেবে এক্সিম ব্যাংকে তাকে বাদ দিয়ে নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। তাতে বিএবির নেতৃত্বও হারান তিনি।
এর মাধ্যমে ১৭ বছর পর নজরুল ইসলামের বলয় থেকে বের হল শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকটির পর্ষদ। ২০০৭ সাল থেকে এ ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে ছিলেন ব্যাংক খাতের আলোচিত ব্যক্তিত্ব। ২০০৯ সাল থেকে বিএবির চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। সেসময় বেসরকারি ব্যাংক থেকে চাঁদা তুলে ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করা নিয়ে আলোচনায় আসেন।
গত ২৫ আগস্ট নজরুল ইসলাম এবং তার স্ত্রী নাছরিন ইসলামের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ রাখতে নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট-বিএফআইইউ। ব্যাংক থেকে নানা সময় চাঁদা তোলার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে ব্যাংক কোম্পানি আইন পরিবর্তন করে উদ্যোক্তাদের সুবিধা বাড়ানো ও নীতি পরিবর্তনে ভূমিকা রাখার অভিযোগও রয়েছে।
গত ৪ ফেব্রুয়ারি নজরুল ইসলাম মজুমদার, তার স্ত্রী নাসরীন ইসলাম, মেয়ে আনিকা ইসলাম, ছেলে ওয়ালিদ ইবনে ইসলাম ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানেরসহ মোট ৫২টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়েছে। তাছাড়া পোশাক রপ্তানির আড়ালে ‘মানিলন্ডারিং’এর মাধ্যমে প্রায় ৩০ লাখ ডলার যুক্তরাষ্ট্রে পাচারের অভিযোগে নাসা গ্রুপের কর্ণধারের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।