সেই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে টুকরো টুকরো করার হুমকি

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৭ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের বাতিসা ইউনিয়নের কুলিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুকে ন্যাক্কারজনকভাবে হেনস্তা করা হয়। গত রবিবার (২২ ডিসেম্বর) এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার দিনই স্থানীয় জামায়াতের সমর্থক আবুল হাশেম মজুমদার তাকে স্ট্যাম্পে সাক্ষর দিতে বলে, না হলে তাকে হত্যা করার মতো হুমকিও দেয়।
আবদুল হাই কানু জানান, তিনি শারীরিকভাবে কিছুটা অসুস্থ অনুভব করলে বাজারে গিয়ে ফার্মেসিতে বসেছিলেন। সেখানে ডায়াবেটিস ও প্রেসারের পরীক্ষা করানোর সময় হঠাৎ আবুল হাশেম মজুমদার তাকে আক্রমণ করে।
তিনি বলেন, হাশেম আমাকে গলা ধরে টান দেয় এবং বলে, তোরে আজকে ছাড়া যাবে না, জীবনের শিক্ষা দিমু। তুই এই এলাকা থেকে তাড়াতাড়ি চলে যা। এরপর আমাকে কুলিয়ারা স্কুল মাঠের দিকে টেনে নিয়ে যায়।
বীর মুক্তিযোদ্ধা বলেন, কেন চলে যাব? গত ৯ বছর তো এলাকায় ছিলাম না। তারা আমাকে ৫টার মধ্যে বাড়ি থেকে বের হতে বলেছে। হাশেম বলেছে, স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর দে, না হলে তোরে টুকরো টুকরো করব। তখন সে আমার উপর ছুরি তো বসিয়েই দিয়েছিল। ওই ভিডিও এখনো পাওনি, হয়তো কোনো দিন পাবা। সাংবাদিকদের কাছে এই সত্য উদ্ঘাটনের দাবি জানাচ্ছি।
এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানু পুলিশের কাছে বিচার চেয়ে বলেন, আমি বিচার চাই, কিন্তু ভালো লোক ক্ষতিগ্রস্ত হোক, এমন আমি চাই না। লুটতরাজের বিচার চাই। এ সরকারের সময়ে যদি ভালো লোকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে তারা কোথায় দাঁড়াবে? আমি কোথায় দাঁড়াব?
ঘটনার পর নিরাপত্তার কারণে মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানু তার বাড়ি ছেড়ে ফেনী চলে আসেন। সেখানে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বর্তমানে তিনি ছেলের বাসায় বিশ্রামে আছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা জানান, পুলিশ নিরাপত্তা নিশ্চিত করলে তিনি চৌদ্দগ্রামের নিজ বাড়িতে ফিরতে চান।
উল্লেখ্য, মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানু দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তবে সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকের রোষানলে পড়ে তিনি ৮ বছর এলাকায় ছিলেন না।