মুনতাহাকে হত্যাকারী কে, জানা গেল

খালেদ আহমদ (সিলেট)
প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৩ পিএম

সিলেটের কানাইঘাটের শিশু মুনতাহা আক্তার জেরিন
সিলেটের কানাইঘাটের শিশু মুনতাহা আক্তার জেরিন (৬) কে হত্যা করেছে তার গৃহশিক্ষক মার্জিয়া বেগম সুমি। এতে সুমিকে সহযোগীতা করেন তার মা। রবিবার (১০ নভেম্বর) ভোরে সুমির মা মুনতাহার মরদেহ অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার সময় হাতেনাতে ধরা পড়েন। এমনটি জানিয়েছেন কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আওয়াল। তিনি জানান, এ ঘটনায় হাউস টিউটর সুমি এবং তার মা ও মেয়েকে আটক করা হয়েছে। তারা তারা মুনতাহাদের পশের বাসারই বাসিন্দা।
৮ দিন নিখোঁজ থাকার পর রবিবার ভোর চারটার দিকে মুনতাহার নিজ বাড়ির পুকুরে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে গত ৩ নভেম্বর দুপুর থেকে নিখোঁজ ছিল সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার এই শিশু। মুনতাহা উপজেলার সদর ইউনিয়নের বীরদলের ভাড়ারিফৌদ গ্রামের শামীম আহমদের মেয়ে। মুনতাহার নিখোঁজের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক তোলপাড় হয়। তার সন্ধান চেয়ে দেশ-বিদেশে অনেকে পুরষ্কারও ঘোষণা করেন।
কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আওয়াল বলেন, শনিবার সন্দেহবশত আমরা মুনতাহার হাউস টিউটর সুমিকে ধরে নিয়ে আসি। তার কথাবার্তা অসংলগ্ন মনে হচ্ছিল। তখন হাউস টিউটরের বাড়ির দিকে নজর রাখার জন্য রাতেই আমরা মুনতাহার পরিবারের সদস্যদের বলি। তিনি বলেন, ভোরের দিকে মুনতাহার পরিবারের সদস্যরা দেখতে পান বাড়ির পাশের একটি ছড়ার মাটি খুঁড়ে মুনতাহার মরদের পাশের পুকুরে ফেলে দেন ওই হাউস টিউটরের মা। সঙ্গে সঙ্গে আমাদের খবর দিলে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করি এবং হাউস টিউটরের মা ও তার নানীকে ধরে নিয়ে আসি।
ওসি বলেন, আমাদের জিজ্ঞাসাবাদে হাউস টিউটর ও তার মা মুনতাহাকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। তবে কি কারণে হত্যা করা হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে। পূর্ব বিরোধের কারণে এটি হয়ে থাকতে পারে। মেয়ের মরদেহ উদ্ধারের তথ্য নিশ্চিত করে মুনতাহার বাবা শামীম আহমদ বলেন,আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার দাবি করছি। খুনিদের ফাঁসি চান তিনি।
এরআগে মুনতাহার পরিবার দাবি করে, তাকে পরিকল্পিতভাবে অপহরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় কানাইঘাট থানায় জিডি করা হয়েছিল। অপহরণকারীকে ধরিয়ে দিতে এক লাখ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছিল।
গত ৩ নভেম্বর সকালে বাবার সঙ্গে স্থানীয় একটি ওয়াজ মাহফিল থেকে বাড়ি ফিরে মুনতাহা। পরে প্রতিদিনের মতো আশপাশের বাড়িতে শিশুদের সঙ্গে খেলাধুলা করতে যায়। কিন্তু বিকেলে হলে বাড়ি না ফিরলে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। তারপর তাকে আর কোথাও পাওয়া যায়নি।
আরো পড়ুন: শেখ হাসিনার অডিও ক্লিপের নির্দেশনা বাস্তবায়নকারী ৫০ জন গ্রেপ্তার