চুয়াডাঙ্গা- ২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলী আজগর টগরসহ আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ সংগঠনে ১২২ন নেতাকর্মীকে আসামি করে হত্যাচেষ্টা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা হয়েছে। গত শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) রাতে রাজনগর গ্রামের আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। ইতোমধ্যে এ মামলায় জীবননগর পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মতিয়ার রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু মো আব্দুল লতিফ অমল, সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলাম মর্তুজা, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, পৌর যুবলীগের সভাপতি শাহ শরিফুল ইসলাম ছোট বাবু, সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান, মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন খান, উথলী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি আব্দুল হান্নান, হাসাদাহ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম রবি বিশ্বাস, সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ইশাবুল ইসলাম মিল্টন মোল্লা, কেডিকে ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খায়রুল বাশার শিপলু, জীবননগর সেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান, জীবননগর ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আনিক হাসান, সাধারণ সম্পাদক শহিদুজ্জামান বিপ্লবসহ ১২২ জন। এছাড়া আরো ১০০-১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলাটি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১৮ জুলাই বিকেলে জীবননগর বাসস্ট্যান্ড চত্বরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সাবেক এমপি টগরের হুকুমে সশস্ত্র দল বিশৃঙ্খলা করে। এসময় আনোয়ার হোসেন প্রতিবাদ করতে গেলে তাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। আসামিদের হাতে থাকা কাঠের বাটাম, লোহার রড, হকিস্টিক দিয়ে আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে থাকা তুষার নামে এক যুবককে বেধড়ক মারধর করতে থাকেন এবং হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করেন। আনোয়ার হোসেন এমপি টগরকেকে ঠেকাতে গেলে তার ব্যাগে থাকা ৭ লাখ ২৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন। একসঙ্গে তার ব্যবহৃত এপাচি ফোরভি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন।

জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন, এ মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার চেষ্টা চলছে।