যুক্তরাজ্যে টাকা পাচার মামলা, খালাস পেলেন বিএনপি নেতা মোশাররফ

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ আগস্ট ২০২৪, ০৮:৪৩ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে যুক্তরাজ্যে টাকা পাচারের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় খালাস দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) খন্দকার মোশাররফের বিরুদ্ধে আনা পাচারকৃত ৯ কোটি ৫৩ লাখ টাকার অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি মর্মে এই রায় দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক আবুল কাশেম।
রায়ে বিচারক বলেন, মামলায় যে পরিমাণ অর্থ উল্লেখ আছে তা আইনি প্রক্রিয়ায় অর্জিত হয়েছে। তাই খন্দকার মোশাররফ যুক্তরাজ্য থেকে ওই অর্থ ফেরত দিতে পারেন। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, মোশাররফ স্বাস্থ্যমন্ত্রী থাকার সময় এই অর্থ পাচার করেছিলেন। তবে তদন্ত কর্মকর্তা তদন্তকালে মন্ত্রণালয়ের কোনো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেননি।
এর আগে রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষ তাদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন এবং বিচারক মামলার অভিযোগকারীসহ রাষ্ট্রপক্ষের নয় জন সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
২০১৫ সালের ২৮ অক্টোবর একই আদালত এই মামলায় মোশাররফের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ। ২০১৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাজ্যে ৯ কোটি ৫৩ লাখ টাকা পাচারের অভিযোগে মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক নাসিম আনোয়ার।
আরো পড়ুন: ৪ মামলায় বিএনপি নেতা ফালুর জামিন
দুদকের তদন্তে দেখা গেছে, মোশাররফ এবং তার স্ত্রী বিলকিস আক্তার লয়েডস টিএসবি অফশোর প্রাইভেট ব্যাংকিং, সেন্ট পিটারপোর্ট, গার্নসে, চ্যানেল আইল্যান্ড, জিওয়াই ফোরটিন ইএনসহ যুক্তরাজ্যের যৌথ ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা রাখা হয়েছিল।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যের গার্নসির বেইলিউইকের ফিন্যান্সিয়াল ইনভেস্টিগেশন ইউনিটের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পাচারের মাধ্যমে ওই অর্থ ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছিল।
দুদকের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের তৎকালীন অ্যাটর্নি জেনারেল অর্থপাচার সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য চেয়ে যুক্তরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে এমএলএআর (মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্ট) পাঠান। পরে যুক্তরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করেন বলে জানান নাসিম আনোয়ার।
খন্দকার মোশাররফের বিরুদ্ধে ঢাকার বিভিন্ন আদালতে দুর্নীতির চারটি মামলাসহ আরো ১৪টি মামলা বিচারাধীন।
রায় ঘোষণার পরপরই খন্দকার মোশাররফ তার সন্তোষ প্রকাশ করে সাংবাদিকদের বলেন, মামলা দায়েরের ১০ বছর পর তিনি আদালত থেকে ন্যায়বিচার পেয়েছেন। তিনি আরো বলেন, তাকে হয়রানি করার জন্য এ মামলা করা হয়েছিল।