তাহিরপুর সীমান্তে তক্ষক চক্রের মূলহোতাসহ চার সদস্য আটক

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২১, ০৪:৫০ পিএম

উপজেলার সীমান্ত এলাকা টেকেরঘাট গ্রামে তক্ষক বিক্রি হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ তাদের আটক করে। ছবি: ভোরের কাগজ
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার সীমান্ত এলাকা থেকে তক্ষক চক্রের ৪ সদস্যকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে তাহিরপুর থানা পুলিশ।
আটককৃতরা হলো, তাহিরপুর উপজেলার ১নং উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের লাকমা গ্রামের মৃত সফি উদ্দিনের ছেলে তক্ষক চক্রের মূলহোতা বাবুল মিয়া ওরফে ল্যাংড়া বাবুল (৪২) ও তার সহোদর জামাল উদ্দিন (৩৯), টেকেরঘাট বিসিআইসি কলোনীর মৃত সিদ্দিক মিয়ার ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪৪) ও পার্শ্ববর্তী বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার চিনাকান্দি গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে জয়নাল মিয়া (২৮)।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রবিবার সন্ধায় উপজেলার সীমান্ত এলাকা টেকেরঘাট গ্রামে রফিকুলের বাড়িতে তক্ষক বিক্রি হচ্ছে এমন গোপন সংবাদ পেয়ে তাহিরপুর থানার বাদাঘাট পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই মো. জয়নাল আবেদীন ঘটনাস্থলে গিয়ে জামাল উদ্দিন ও রফিকুল ইসলাম, বাবুল মিয়া ও তার সহোদর জামাল মিয়াকে আটক করে থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। রাতভর জিজ্ঞাসাবাদে প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করা হচ্ছে আটককৃতরা তক্ষক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত রয়েছে।
তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুল লতিফ তরফদার ৪জনকে আদালতে প্রেরণের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, সোমবার দুপুরে আটককৃতদের ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। আটক ৪জন তক্ষক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সন্দেহজনক ভাবে প্রমানিত হয়েছে। তবে তক্ষক উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে এলাকায় জনশ্রুতি রয়েছে তারা বিভিন্ন স্থানের সহজ সরল লোকজনকে তক্ষকের ভিডিও দেখিয়ে তক্ষক বিক্রি করে কোটিপতি হওয়ার লোভ দেখিয়ে একাধিকবার প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করেছে।
উল্লেখ্য বাবুল ওরফে ল্যাংড়া বাবুল সীমান্ত এলাকায় বিজিবি ও পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে সীমান্তে চোরাচালানীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করাসহ মাদক ও তক্ষক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকাসহ বিভিন্ন লোকজনকে চোরাচালানের মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার অভিযোগও রয়েছে বাবুলের বিরুদ্ধে।