উদ্ধার হওয়া শেলটি ধ্বংস করল বোম্ব ডিস্পোজাল ইউনিট

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৮ মার্চ ২০২১, ০৮:২৭ পিএম

বোম্ব ডিম্পোজাল ইউনিটের ৯ ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়নের সদস্যরা
পঞ্চগড়ের করতোয়া নদী থেকে উদ্ধার হওয়া ৭৫ আরআরএইচই শেলটি ধ্বংস করেছে রংপুর সেনানিবাসের বোম্ব ডিম্পোজাল ইউনিটের ৯ ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়নের সদস্যরা। রবিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে পঞ্চগড় পৌরসভার নীমনগড় এলাকায় করতোয়া নদীর ধারে ক্যাপ্টেন ইফতেখারুল আনাম সৈকতের নেতৃত্বে ২২ সদস্যর দল এই শেলটি ধ্বংস করে।
এসময় শেলটি ধ্বংস করা দেখতে করতোয়া নদীর ধারে স্থানীয় সাধারণ মানুষেরা ভীড় জমায়। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের দূরে সরিয়ে দেন। শেলটি ধ্বংস করার সময় পঞ্চগড় সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জুয়েল রানা, উপ-পরিদর্শক (এসআই) ভবেশ চন্দ্র পাল ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুর আলম সহ সদর থানা পুলিশের একটি দল উপস্থিত ছিলেন।
গত ১৮ মার্চ বৃহস্পতিবার পঞ্চগড় পৌরসভার নিমনগড় এলাকায় ড্রেজার মেশিন দিয়ে করতোয়া নদী খননের সময় বালি পাথরের সাথে উঠে আসে এই শেলটি। এ সময় ওই এলাকার ইজিবাইক চালক মো. খোকন ড্রেজার মেশিনের পাইপের মুখে জিআই তারের নেট লাগিয়ে পাথর সংগ্রহ করছিলেন। পরে তিনি সেটিকে লোহা সাদৃশ্য বস্তু মনে করে বাড়িতে নিয়ে যান। উদ্ধার হওয়ার পর থেকে শেলটি তার বাড়িতেই সংগৃহিত ছিলো। পরে গত শনিবার (২৭ মার্চ) বিকেলে সেটিকে বাশেঁর একটি ছোট টুকরা দিয়ে ময়লা খুঁচিয়ে পানি দিয়ে ধুঁয়ে পরিষ্কার করার সময় আঘাত পেয়ে ওই শেলটি থেকে ধোঁয়া বের হতে থাকে। পরে ওই ব্যক্তি দ্রুত শেলটি বাড়ির পাশের ফাঁকা স্থানে রেখে আসে। শেলটি থেকে ধোয়া বের হওয়ায় স্থানীয়রা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।
রংপুর সেনানিবাসের বোম্ব ডিম্পোজাল ইউনিটের ৯ ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়নের ক্যাপ্টেন ইফতেখারুল আনাম সৈকত জানান, প্রায় ১০ থেকে ১২ ইঞ্চির শেলটির গায়ে ইংরেজিতে লেখা রয়েছে এলএওয়াই-২-১-৪৫ অর্থাৎ এই শেলটি ১৯৪৫ সালে ২রা জানুয়ারী তৈরী করা হয়েছিলো। ধারণা করা হচ্ছে ১৯৪৫ সাল থেকে ১৯৭১ সালের মধ্যে কোন এক যুদ্ধের সময় এটি বিমান থেকে পড়ে যেতে পারে। তবে কোন যুদ্ধে এই শেলটি ব্যবহার করা হয়েছে সে সম্পর্কে কিছুই জানাতে পারেনি তিনি।