যুবদল নেতার নেতৃত্বে ২ কিশোরীকে ধর্ষণ

নাঙ্গলকোর্ট (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:০৮ পিএম

ছবি : প্রতীকী ছবি
কুমিল্লার নাঙ্গলকোর্টে মহসিন নামে এক যুবদল নেতার নেতৃত্বে সড়ক থেকে দুই কিশোরীকে তুলে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত মহসিন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল নেতা ও উপজেলার নুরপুর গ্রামের রঞ্জু মিয়ার ছেলে।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) দুপুর ২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত ওই দুই কিশোরীকে সড়ক থেকে তুলে নিয়ে উপজেলার নূরপুর সেবাখোলা বাজারে “খোকন স'মিলের” একটি কক্ষে আটকে রেখে দফায়-দফায় দলবদ্ধ ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ করা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই দুই কিশোরী সোমবার দুপুরে নাঙ্গলকোর্ট থানায় এসে যুবদল নেতা মহসিন ও স’মিল মালিক একই এলাকার করের ভোমরা গ্রামের আলী মিয়ার ছেলে খোকন মিয়াসহ ৮-১০ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন। পরে একই দিন রাত পৌনে ৮টার দিকে ভুক্তভোগী কিশোরীদের নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন নাঙ্গলকোর্ট থানা অফিসার ইনচার্জ এ কে ফজলুল হক।
ভুক্তভোগী দুই নারী জানান, আমাদের দুজনকে মহসিনসহ ১০-১২ জন মিলে একটি স'মিলে নিয়ে গণধর্ষণ করে। এর মধ্যে দুইজন আমাদেরকে সবচেয়ে বেশি নির্যাতন করেছে। সবার মুখ দেখলেই চিনতে পারবো। স'মিলের মালিকও ছিল। আমাদেরকে প্রথমে জোরপূর্বক অটোরিকশায় তুলে নিয়ে বিভিন্ন রাস্তায় ঘোরাঘুরি করে। পরে জোর করে স’মিলের একটি রুমে নিয়ে যায়, সেখানে আমাদেরকে ধর্ষণ করে এবং মোবাইলে ভিডিও করে। এ সময় আমরা চিৎকার দিলে, আমাদেরকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত আমাদের ওপর এ নির্যাতন করা হয়। পরে আমাদেরকে অটোরিকশায় তুলে হুমকি দিয়ে বলে সোজা চৌদ্দগ্রাম বাজারে নামিয়ে দিতে। আমরা এ নির্যাতনের বিচার চাই।
অভিযুক্ত যুবদল নেতা মহসিন ও স’মিল মালিক খোকন মিয়াকে তাদের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে না পাওয়ায় এবং তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
নাঙ্গলকোট উপজেলা যুবদল আহবায়ক মনিরুল ইসলাম বলেন, সে আমার পরিচিত নয়। কেউ যদি দলের নাম ব্যবহার করে অপকর্ম করে, আমরা তার দায়ভার নিবো না। অপরাধী যেই হোক তার পরিচয় সে অপরাধী, তাকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করা উচিত।
নাঙ্গলকোর্ট থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একে ফজলুল হক বলেন, দুই কিশোরী পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। তাদের একজনের বাড়ি লক্ষ্মীপুর ও অপর জনের বাড়ি চাঁদপুর জেলায়। মামলা প্রক্রিয়াধীন।
নাঙ্গলকোর্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল আমিন সরকার বলেন, ওসিকে বলা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা মিললে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।