বাড়ি ফিরতেই আ.লীগ নেতাকে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:৫৮ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর ইউনিয়নের এক আওয়ামী লীগ নেতা ছিলেন আত্মগোপনে। সুযোগ বুঝে গত পরশু রাতে ফিরে ছিলেন বাড়িতে। এই ব্যক্তির নাম অলিউজ্জামান ওরফে মন্টু মাস্টার (৬৮)। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল ওয়াদুদের চাচা হন। শনিবার (৪ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে তাকে ধরে নিয়ে গিয়ে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। তার পরিবার অভিযোগ করে বলেন, বিএনপির স্থানীয় নেতা–কর্মীরা অলিউজ্জামানকে নির্যাতন করেছেন।
অলিউজ্জামান একজন স্কুলশিক্ষক ছিলেন। সংসদ সদস্য আবদুল ওয়াদুদের ভাই শেখ আবদুল হানিফ বলেছেন, উপজেলার বিড়ালদহ গ্রামে তাদের বাড়ি। ৫ আগস্টের ঘটনার পর থেকে তার চাচা অলিউজ্জামান আত্মগোপনে চলে যান। গত পরশু রাতে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। শনিবার (৪ জানুয়ারি) সকালে তিনি পাশের মাইপাড়া বাজারে চা খেতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বিএনপির লোকজন তাকে ধরে নিয়ে গিয়ে বিড়ালদহ বাজারের পাশে নন্দনপুর সড়কে একটি বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে বেধড়ক পিটুনি দেন।
অলিউজ্জামান বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন। হাসপাতালের মুখপাত্র শংকর কুমার বিশ্বাস বলেছেন, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অলিউজ্জামানকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ধারালো অস্ত্রের গুরুতর জখম রয়েছে। বিএনপির স্থানীয় নেতা মিঠুন, আহসান ও সীমান্ত এই হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছেন বলে লোকমুখে শুনেছেন অলিউজ্জামানের ভাতিজা আবদুল ওয়াদুদ।
তিনি বলেন, গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন তার চাচাকে উদ্ধার করে প্রথমে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হয় তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ ব্যাপারে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে মিঠুন বলেন, তার মামা মারা গেছেন। সেই জানাজা নিয়ে তারা ব্যস্ত। যারা অলিউজ্জামানকে মারধরের অভিযোগ করেছেন তারা মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। তিনি দাবি করেন আহসান, সীমান্তও ঘটনাস্থলে ছিল না।
পাল্টা অভিযোগ করে মিঠুন বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার সময় তার পরিবারে দুইটা খুন হয়েছে। তারা বিপদগ্রস্ত আছেন। তারা রাজনীতি করতে পারেননি। তা ছাড়া নিয়োগ–বাণিজ্যের কারণে এই মন্টু মাস্টারের (অলিউজ্জামান) নাম পড়েছিল ‘পুঠিয়া–দুর্গাপুরের শিক্ষামন্ত্রী’।
পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন বলেন, এ ঘটনায় তাদের কাছে কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। তারা মৌখিকভাবে শুনেই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। তিনি আহত হয়েছেন, তাকে প্রথমে পুঠিয়া হাসপাতালে পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কারা অলিউজ্জামানের ওপর হামলা চালিয়েছে জানতে চাইলে ওসি জানান, কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।