১২ বছরেও মেরামত হয়নি ঝুঁকিপূর্ণ সেতু, ১০ গ্রামের বাসিন্দার দুর্ভোগ

ডিমলা, নীলফামারী
প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২৫ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
নীলফামারীর ডিমলার বালাপাড়া ইউনিয়নের সিংগাহারা গ্রামের সেতুর পিলার দেবে যাওয়ায় বিভিন্ন জায়গায় ভেঙে গিয়ে উঁচু নিচু হয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে সেতুটি। নিকটবর্তী বিকল্প রাস্তা না থাকায় বাধ্য হয়েই এই সেতুর ওপর দিয়েই পারাপার হতে হচ্ছে দুই উপজেলার ১০ গ্রামের মানুষকে।
সরেজমিনে দেখা যায়, জরাজীর্ণ এই সেতু দেবে গেছে প্রায় এক যুগ আগে। রেলিংগুলোও ভেঙে গেছে। তবুও নিয়মিত পারাপার হচ্ছে রিকসা, ভ্যান মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ ছোটখাটো যান। দিনের বেলায় কোনো মতে চলাচল করা সম্ভব হলেও রাতে অন্ধকারে খুবই বিপজ্জনক হয়। যেকোনো সময় ঘটতে পারে হতাহতের বড় কোনো ঘটনা।
সিংপাড়ার বাসিন্দা মিঠুন কুমার সিং বলেন, আমি একজন ব্যবসায়ী। ব্যবসার কারণে অনেক রাতে বাড়ি ফিরতে হয়। পরিবার চিন্তায় থাকে রাতে এই সেতু পার হয়ে কিভাবে বাড়িতে ফিরবো। দীর্ঘ এক যুগ থেকে নড়বড়ে সেতু সংস্কারের কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি কর্তৃপক্ষ।
সিংপাড়ার ব্যবসায়ী রিপন বলেন, এখানে বেশিরভাগ মানুষ ডিমলা বাজারে সঙ্গে সম্পৃক্ত। সিংহভাগ নারী পুরুষকে বিভিন্ন কাজে সদরের বাজারে যেতে হয়। দীর্ঘদিন থেকে এই বিপজ্জনক সেতুর ওপর দিয়ে আমাদের চলাচল করতে হচ্ছে। এখানে নিয়মিত দুর্ঘটনাও ঘটছে। গত তিন বছর আগে সেতুতে পারাপার হতে গিয়ে একজন তরুণ ব্যবসায়ী এখানে মারা গেছে।
সেতুটি ১৯৯৭ সালে নির্মাণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের মধ্যে সমন্বয়হীনতার কারণে সেতুটি অপসারণ কিংবা সংস্কার সম্ভব হচ্ছে না। সরকারি দুটি সংস্থাই একে অপরের ওপর দায় চাপাচ্ছে। আর এর খেসারত দিতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
উপজেলা প্রকৌশলী সফিউল আলম বলেন, আমি এই সেতুর জন্য এখন পর্যন্ত দুইবার প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি, পাস হয়ে আসেনি। শুনেছি উপজেলা প্রকল্প বাস্তায়ন কর্মকর্তা বরাদ্দের জন্য প্রস্তাবনা পাঠিয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেজবাহুর রহমান বলেন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এই সেতুর অনাপত্তি সনদ প্রদান করেনি। তাই সেতুটির প্রস্তাবনা পাঠানো হয়নি।