মেঘনায় নৌ-পুলিশের অভিযানে ড্রেজারসহ কারেন্ট জাল জব্দ

মেঘনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৫৪ পিএম

ছবি: ভোরের কাগজ
নৌপথ শতভাগ নিরাপদ রাখতে কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে চালিভাঙ্গা নৌ-পুলিশ। রবিবার (১৩ অক্টোবর) সকাল ৮টা থেকে দিনগত রাত সাড়ে ৭টা পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করেন তারা। অভিযান চলাকালে ১টি ড্রেজার ও এক হাজার বর্গমিটারের ১টি কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়।
সোমবার সকালে ফাঁড়ির এসআই মোমেন ভূঁইয়া (নিঃ) বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মেঘনা নদীর চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের রামপ্রসাদেরচর এলাকায় কে বা কারা ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছিল। খবর পেয়ে আমাদের ফাঁড়ির ইনচার্জ আজামগীর হোসাইন স্যারের নির্দেশনায় আমি সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গেলে তারা টের পেয়ে কতিপয় ব্যক্তিরা ড্রেজার রেখে পালিয়ে যায়।
পরে ড্রেজারটি স্বাক্ষীদের উপস্থিতিতে জব্দ তালিকা মূলে জব্দ করে ফাঁড়িতে নিয়ে আসলে এএসআই শেখ মোহাম্মদ মইন উদ্দিন (নিঃ) বাদি হয়ে অজ্ঞাত ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ১৫ (১) তৎসহ পেনাল কোড ১৮৬০ ধারায় বালুমহল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে এজাহার দাখিল করেন।
ঠিক একই সময় ওই এলাকা থেকে একটি কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়, যার বর্তমান বাজার মূল্য ৬ হাজার টাকা। তিনি আরো বলেন- মামলার আলামত ফাঁড়ির হেফাজতে আছে এবং উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার পরামর্শক্রমে উদ্ধারকৃত অবৈধ কারেন্ট জালটি আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। এ বিষয়ে চালিভাঙ্গা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. আজামগীর হোসাইন ভোরের কাগজকে বলেন, নৌপথে শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধ করাই আমার লক্ষ্য। ইতিমধ্যে আমি নদীপথে আমার ফোর্স নিয়ে নৌ টহল জোরদার করেছি। নৌপথে কোন ধরনের চাঁদাবাজি, অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন বা সন্ত্রাসী কার্যক্রম চলতে দেয়া হবে না। তবে আমার অধীনস্থ এলাকায় নদীপথের কোথাও অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার সংবাদ পেলে আমরা অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তারপূর্বক সর্বোচ্চ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এমনকি ভবিষ্যতে নৌপথে কোনো ধরনের অপরাধ হতে দিবে না বলেও জানান তিনি।