সেতুর নির্মাণ কাজ বন্ধ, কয়েক হাজার মানুষ দুর্ভোগে!

খোরশেদ আলম, শেরপুর থেকে
প্রকাশ: ১২ অক্টোবর ২০২৪, ১০:০৭ পিএম

বাশের সেতু দিয়ে পার হচ্ছেন দুই উপজেলার লোকজন। ছবি: ভোরের কাগজ।
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার ধানশাইল ইউনিয়নের সোমেশ্বরী নদীর বাগেরভিটায় সেতু নির্মাণ বন্ধ হটাত করেই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ফলে এ পথে যাতায়াতকারী দুই উপজেলার কয়েক হাজার মানুষের চরম দুর্ভোগে পড়েছে।
জানা গেছে, ঝিনাইগাতী উপজেলার ধানশাইল ইউনিয়ন থেকে শ্রীবরদী উপজেলার সঙ্গে সংযোগ সড়কটির সোমেশ্বরী নদীর বাগেরভিটায় ২০ মিটার একটি সেতু নির্মাণ কাজ শুরু করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। ৩ কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে আরসিসি এ সেতুটি নির্মাণের জন্য টেন্ডারের মাধ্যমে ২০২২ সালে ঠিকাদারও নিয়োগ দেয়া হয়। শেরপুরের ধ্রুব টেডার্স সেতুটির নির্মাণ কাজ পায়। ২০২৩ সালের ৩০ এপ্রিল সেতুর নির্মাণ কাজ শুরুও হয়। কিন্তু স্থানীয়দের অভিযোগ সেতু নির্মাণ কাজ শুরু হলেও কাজ চলে অস্বাভাবিক ধীরগতিতে।
ফলে এই পথে যাতায়াতকারী দুই উপজেলার হাজার হাজার মানুষের চরম দুর্ভোগে পড়ে। ইতোমধ্যেই সেতুর নির্মাণ সম্পন্নের তারিখ অতিবাহিত হয়েছে। এদিকে সেতু নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পথে দুই উপজেলার মধ্যে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান নির্মাণাধীন সেতুর পাশ দিয়ে পথচারীদের যাতায়াতের জন্য একটি ড্রাইভিশন পথ করে দেয়া হলেও পাহাড়ি ঢলের পানিতে পথটি ভেসে গেছে। ফলে এ পথে যাতায়াতকারী লোকজন এখন চরম বিপাকে। দুই উপজেলার সাথে সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে এ সেতুটি গুরুত্বপূর্ণ হলেও গত ৬ মাস পূর্বে ঠিকাদারের লোকজন নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।
স্থানীয়রা বাধ্য হয়ে নির্মাণাধীন সেতুর পাশ দিয়ে একটি বাঁশের সাঁকো তৈরি করে কোনমতে পারাপার হচ্ছেন। কিন্তু প্রায়ই তাতে ঘটছে দুর্ঘটনা।
আরো পড়ুন: বিতর্কিত ম্যাজিস্ট্রেট ঊর্মির ভারতে পালিয়ে যাওয়া নিয়ে যা বললেন তার মা
এ বিষয়ে ঝিনাইগাতী উপজেলা প্রকৌশলী শুভ বসাক বলেন, সেতুটি নির্মাণের জন্য ঠিকাদারকে তাগাদা দেয়া হচ্ছে। কিন্তু ঠিকাদার সেতু নির্মাণ কাজের সময় বর্ধিত করে এনেছেন। মূলত এ কারণেই ঠিকাদারের লোকজন সেতু নির্মাণ কাজ বন্ধ রেখেছেন। স্থানীয়রা জরুরী ভিত্তিতে সেতু নির্মাণ কাজ শেষ করার দাবি জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে।