×

সারাদেশ

কুষ্টিয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যা

Icon

এস আর সেলিম, দৌলতপুর (কুষ্টিয়া)

প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:০৩ পিএম

কুষ্টিয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যা

মো. নঈম সেন্টু

   

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে দিনে দুপুরে অফিসে ঢুকে নঈম উদ্দিন সেন্টু (৬৫) নামে এক ইউপি চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তিনি উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়ন পরিষদের তিনবারের চেয়ারম্যান ছিলেন। 

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দুর্বৃত্তরা তাকে নৃশংসভাবে গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিক্ষুব্ধ লোকজন ইউনিয়ন পরিষদের পাশে স্থানীয় যুবদল নেতা টুকু বিশ্বাসের বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী অবস্থান নিয়েছেন। 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নঈম উদ্দিন সেন্টু অন্যান্য দিনের মতো সোমবার সকাল ১০টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদে তার কার্যালয়ে যান। অফিসে বসে দাপ্তরিক কাজকর্ম করার একপর্যায়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দুর্বৃত্তরা এসে জানালা দিয়ে গুলি করলে তিনি ফ্লোরে লুটিয়ে পড়েন। এরপর দুর্বৃত্তরা সরাসরি অফিসে ঢুকে চেয়ারম্যান নঈম উদ্দিন সেন্টুর ওপর আবারো গুলি চালিয়ে হত্যা নিশ্চিত করে। এ সময় পরপর কয়েক রাউন্ড শর্টগানের ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে দুর্বৃত্তরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এ সময় পরিষদে অবস্থানরত গ্রাম পুলিশের কয়েকজন সদস্য প্রাণভয়ে আত্মগোপন করেন। পরে ইউনিয়ন পরিষদ ও আশেপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে টিশার্ট ও কালো রঙের প্যান্ট পরিহিত চেয়ারম্যানকে রক্তাক্ত ও মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। 

এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ইউনিয়ন পরিষদের পার্শ্ববর্তী স্থানীয় যুবদল নেতা টুকু বিশ্বাসের বাড়ি পেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে দেন। খবর পেয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা পৌঁছে নিয়ন্ত্রণে নেন। বর্তমানে ওই এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। দিনেদুপুরে অফিসে ঢুকে চেয়ারম্যানকে নৃশংসভাবে গুলি করে হত্যার ঘটনায় সাধারণ জনমনে ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক। 

আরো পড়ুন: সেই আনিসকে গ্রেপ্তার করলো পুলিশ

দৌলতপুর থানার ওসি মাহবুবুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, কারা কী কারণে চেয়ারম্যান নঈম উদ্দিনকে হত্যা করেছে তা তদন্তের আগে এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। তদন্তের পর বিস্তারিত জানানো হবে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরাও ঘটনাস্থলে রয়েছেন। 

স্থানীয় কয়েকটি সূত্র মতে, নঈম উদ্দিন সেন্টু প্রথম দিকে বিএনপির রাজনীতি করতেন। তিনি ছিলেন উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি। তিনি ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর প্রথমবারের মতো ফিলিপনগর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি আফাজ উদ্দিন আহমেদের সময়ে দ্বিতীয়বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি। ২০১৮ সালে আ কা ম সরওয়ার জাহান বাদশা আওয়ামী লীগের মনোনয়নে এমপি নির্বাচিত হলে নঈম উদ্দিন সেন্টু অনানুষ্ঠিকভাবে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। তারা ফিলিপনগর ইউনিয়নের কাছাকাছি এলাকার বাসিন্দা। সবশেষ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নঈম উদ্দিন সেন্টু আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেলেও এমপি বাদশাহর সমর্থনে স্বতন্ত্র হিসাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয় বলে স্থানীয়দের ধারণা। 

নিহত ইউপি চেয়ারম্যান নঈম উদ্দিন সেন্টু ফিলিপনগর বাজারপাড়ার মোতালেব সরদারের ছেলে এবং অঢেল সম্পদের মালিক আরমা গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাকের ভাই। হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। 

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ ৩ নেতা রিমান্ডে

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ ৩ নেতা রিমান্ডে

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে আরো ৫২৯ জন গ্রেপ্তার

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে আরো ৫২৯ জন গ্রেপ্তার

হত্যা মামলায় মেনন, ইনু,ফারজানা ও শাকিল রিমান্ডে

হত্যা মামলায় মেনন, ইনু,ফারজানা ও শাকিল রিমান্ডে

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App