মানিকগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে নেই জলাতঙ্কের টিকা

সুরেশ চন্দ্র রায়, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২৪, ০৬:৪১ পিএম

মানিকগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে মিলছে না জলাতঙ্কের টিকা
মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের স্টোরে জলাতঙ্ক রোগ প্রতিরোধের র্যাবিস ভ্যাকসিন না থাকায় রোগীরা ফার্মেসি থেকে কিনতে বাধ্য হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন রোগীর স্বজনরা।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) দুপুরে মানিকগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, কুকুর ও বিড়ালে কামড় বা আঁচড় দেয়া রোগীরা ভ্যাকসিন নেয়ার জন্য ভিড় করছেন হাসপাতালে। কিন্তু ভ্যাকসিন সেবা প্রদানকারী কক্ষের দরজায় জলাতঙ্ক রোগীর ভ্যাকসিন সরবরাহ বন্ধ আছে জানিয়ে একটি নোটিশ ঝুলিয়ে রেখেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেবাদানকারী নার্সরা রোগীর স্বজনদের বাইরে থেকে ভ্যাকসিন কিনে আনার কথা বলছেন।
সিংগাইর উপজেলার খোয়ামুড়ী গ্রাম থেকে আসা সিয়াম হোসেন নামের এক রোগীর বাবা কুরবান আলী বলেন, তার ছেলেকে কয়েকদিন আগে কুকুরে আঁচড় দিয়েছে। সদর হাসপাতাল থেকে প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন বিনামূল্যে দিলেও দ্বিতীয় ডোজ বাইরের ফার্মেসি থেকে কিনে আনতে হয়েছে।
আরো পড়ুন: পাহাড় ধসে কক্সবাজারে শিশুসহ ২ জনের মৃত্যু
ঘিওরের তরা গ্রাম থেকে আসা রজ্জব আলী নামের আরেকজন বলেন, তার নাতনী সাবিহাকে বিড়ালে আঁচড় দিয়েছে। সদর হাসপাতালে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেয়ার কথা শুনে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু এসে দেখেন ভ্যাকসিন নেই। পরে বাইরে থেকে কিনে আনতে হয়েছে। এত বড় একটা হাসপাতাল অথচ এখানে ভ্যাকসিন নাই, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয়।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. বাহাউদ্দিন গণমাধ্যমকে জানান, তাদের হাসপাতালে সবসময় ভ্যাকসিন সরবরাহ থাকে। কিন্ত গত কয়েকদিনে হঠাৎ কুকুর ও বিড়ালে কামড়ানো রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ১দিনের জন্য এরকম সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যেই চাহিদাপত্র ডিজি অফিসে পাঠানো হয়েছে। রবিবারে ভ্যাকসিন সরবরাহ হলে যথারীতি বিনামূল্যে হাসপাতাল থেকে ভ্যাকসিন দেয়া যাবে।
উল্লেখ্য, গত রবিবার সকাল থেকে রাত আটটা পর্যন্ত একদিনেই মানিকগঞ্জ পৌর এলাকায় ৮৮ জনকে কুকুরে কামড়ানোর খবর পাওয়া গেছে। অন্যদিকে গত ৪০ দিনে ১৪৩৯ জন রোগী জলাতঙ্ক রোড়ের ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন। চলতি মাসের প্রথম ৯ দিনেই ৩৮০ জন রোগী এ ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন।