স্ত্রীকে হত্যার দায়ের স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:১৯ পিএম

স্ত্রীকে হত্যার দায়ের স্বামীর মৃত্যুদণ্ড। ছবি: সংগৃহীত
যশোরে যৌতুক দাবিতে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী আনিসুর রহমান রিমন ওরফে সাগরকে মৃত্যুদণ্ড ও অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছে আদালত। একই সঙ্গে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির বাবা কেশবপুর উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের মোস্তফা দফতরি ও মা নাসিমা বেগমকে খালাস দেয়া হয়।
রবিবার (৭ জুলাই) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক গোলাম কবির এই রায় দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর পিপি সেতারা খাতুন। নিহত মেরিনা খাতুন একই উপজেলার গড়ভাঙ্গা গ্রামের আবুল কালাম আজাদের মেয়ে।
মামলা ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রেমের সম্পর্কের জেরে রিপনের সঙ্গে মেরিনার বিয়ে হয়। বিষয়টি পারিবারিকভাবে ২০১৯ সালের ২৬ অক্টোবর মেনে নিয়ে আনুষ্ঠানিকতাও করা হয়। বিয়ের পর রিপনকে নগদ ৪ লাখ টাকা দেয়া হয় মেরিনার পরিবারের পক্ষ থেকে। এর কয়েক দিনের মাথায় পুনরায় ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন রিপন ও তার পরিবারের সদস্যরা। টাকা না দেয়ায় মেরিনাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকে রিমন।
একপর্যায় ২০২২ সালের ৩ মে ঈদুল ফিতরের দিন বিকেলে রিপন নেশা করে বাড়িতে এসে ওই ২ লাখ টাকার জন্য মেরিনাকে চাপ দিতে থাকে। টাকা না দেয়ায় মেরিনাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে গুরুতর জখম করে। গুরুতর অবস্থায় তাকে নেয়া হয় কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। অবস্থার অবনতি হলে মেরিনাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার ৮ দিন পর ১১ মে দুপুরে মেরিনা মৃত্যুবরণ করেন। এরপরই বাড়ি থেকে পালিয়ে যান স্বামী রিপন।
এদিকে, এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে রিপন ও তার পরিবারের ৫ জনকে আসামি দিয়ে মামলা করেন। মামলার পর রিপন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এ মামলাটি তদন্ত করে কেশবপুর থানার এসআই লিখন কুমার সরকার ৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেন। একই সঙ্গে আসামি আল আমিন ও সাহেব আলীকে মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়।
আরো পড়ুন: ভুয়া সনদে দুই যুগ শিক্ষকতা!
মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে গত ৭ জুলাই বিচারক আসামিদের উপস্থিতিতে রিপনকে ফাসির আদেশ ও তার বাবা-মাকে খালাস প্রদান করেন।