যৌতুক না পেয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় গৃহবধূ নির্যাতন

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২০, ০৪:৪৯ পিএম

নির্যাতনের শিকার রোকেয়া বেগম- ভোরের কাগজ
দৌলতখানে যৌতুকের জন্য নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন রোকেয়া বেগম (২১) নামে এক গৃহবধূ। উপজেলার সৌয়দপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডে জলিল ফরাজিবাড়িতে ঘটে নির্জাতনের ঘটনা। গৃহবধূ রোকেয়াকে দৌলতখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তিকরা হয়েছে। হাসপাতালের বিছানায় যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন রোকেয়া।
নির্জাতিত গৃহবধূ ও তার হতদরিদ্র পিতা ইয়ামিন জানান, প্রায় ৭ মাস পূর্বে একই এলাকার সোহাগ (২৫) পিতা নাছিরের সাথে বিবাহ হয় তার। এর আগেও রোকেয়ার আরও একটি বিয়ে হয়েছিলো। সেই সংসার মাত্র ৩ মাস স্থায়ী হয়। মূলত বিয়ের পড় সোহাগের প্ররোচনায় আগের সংসার রেখে সোহাগের হাত ধরে চলে আসে সে। সোহাগ ঢাকায় একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকুরি করে ড্রাইভার হিসেবে। বিয়ের পর কিছুদিন তাদের সংসার ভালোই চলছিল। কিন্তু হঠাৎ করে যৌতুকের জন্য গত ৩ মাস নির্যাতন শুরু হয়। দাবি করা হয় ফার্নিচারসহ আসবাবপত্র। নির্যাতন থেকে বাঁচতে প্রথমে ২০ হাজার পড়ে ৫০ হাজার টাকা বাবার বাড়ি থেকে এনে দেওয়ার পরও টাকা দাবি করে স্বামী সোহাগসহ তার পরিবারের লোকজন।
গত এক সপ্তাহ নির্মম নির্জাতন করা হয় তাকে। গত ০৬-১০-২০২০ তারিখ মোঙ্গলবার বিকাল থেকেই নির্জাতনের মাত্রা বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে অচেতন হয়ে পড়ে গৃহবধূ। রাতভর মারধর করা হয় তাকে। হাত,পা বেঁধে চলে নির্যাতন। সকালে নির্যাতিতার অসহায় বাবা মেয়েকে উদ্ধার করেহাসপাতালে নিয়ে আসে। কান্নজরিত কন্ঠে গৃহবধু দেখান নির্যাতনের চিহ্ন। শরীরের বিভিন্ন যায়গায় রক্ত জমাট বাঁধা সমস্থ শরীর ফুলে উঠেছে।
স্থানীয়রা জানান, ওই গৃহবধূকে অমানুষের মতো নির্যাতন করা হচ্ছে কিছুদিন যাবৎ। দোষীর বিচার দাবি করেন তারা। তবে নির্যাতিতা গৃহবধূর স্বামী সোহাগ বলছেন, ধস্তাধস্তি করতে গিয়ে তার গায়ে দাগ হয়েছে। এখনো পর্যন্ত পরিবারটির পাশে দাঁড়ায়নি কেউ।